আপনি সারাদিন কত কাজই না করেন৷
অফিস, বাড়ি সামলে দায়িত্ব কতর্ব্য
করে দিনের
শেষে ক্লান্তি আপনাকে ঘিরে ফেলে৷
তবে একবার নিজের মস্কিষ্কের
কথা ভেবে দেখুন তো? আপনি যখন
ঘুমিয়ে থাকেন তখনও নিজের কাজ
করে যায় দেহের এই বিশেষ অংশটি৷
এই কারণেই মস্তিষ্ককে সুস্থ
রাখতে আপনাকে প্রতিনিয়ত কিছু
প্রকৃত খাবার খেতেই হবে৷ তাই
কিভাবে নিজদের মস্তিষ্ককে সুস্থ ও
সক্রিয় রাখবেন সেটা জেনে নিন৷
প্রতিদিন একটুকরো ডার্ক টকোলেট
খেলে মস্তিষ্কের
কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়৷ এছাড়াও
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, ডার্ক
চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস স্ট্রোক ও
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতেও
সাহায্য করে৷
অন্যান্য বাদামের তুলনায়
আখরোটে অনেক
বেশি পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্
রয়েছে৷ এটি মস্তিষ্ককে যেকোনও
রোগ থেকে রক্ষা করে৷
টমেটোতে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
যা মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করে৷
এটি মস্তিষ্কের কোষগুলোর
ক্ষতি হওয়া থেকেও বাঁচায়৷
এছাড়া স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও
সাহায্য করে এটি৷
মানুষের মস্তিষ্কের প্রায় ৬০ শতাংশ
চর্বি দিয়ে তৈরি৷ এই কারণেই
মস্তিষ্ককে সক্রিয়
রাখতে ফ্যাটি অ্যাসিড প্রয়োজন৷
বিভিন্ন ধরণের সামুদ্রিক মাছে প্রচুর
পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড বর্তমান৷
এছাড়াও ফ্যাটি অ্যাসিড
অ্যালজাইমারের রোগের হাত থেকেও
বাঁচায়৷
মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখার অপর এক
উপায় হল গ্রিন টি৷
গবেষকেরা জানিয়েছেন, গ্রিন
টি মস্তিষ্কের সংযোগ
ক্ষমতা বাড়ায়৷ এছাড়াও
এটি পারকিনসন্স ও স্মৃতিভ্রম থেকেও
রক্ষা করে৷ চিনি ছাড়া দিনে তিন
কাপ গ্রিন টি মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত
উপকারী৷
ব্লু বেরি বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে৷
এতে রয়েছে ফ্ল্যাভেনয়েডস৷ এছাড়াও
এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য
করে৷ মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত
হওয়ার হাত থেকে বাঁচায় ব্লু বেরি৷
পারকিনসন্স ও অ্যাজাইমারের মত
রোগ থেকেও
এটি মস্তিষ্ককে রক্ষা করে৷
পালংশাকে প্রচুর
পরিমাোণে পটাশিয়াম রয়েছে,
যা মস্তিষ্কের সংযোগ
শক্তি বৃদ্ধি করে ও
স্মৃতিশক্তি বাড়ায়৷ এতে প্রচুর
পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট
রয়েছে৷ এছাড়াও
এতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম,
ভিটামিন ই ও ভিটামিন কে,
যা ডিমেনশিয়া না স্মৃতিভ্রংশের
হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করে৷
Comments
Post a Comment