ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার
লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ
তদারকির জন্য পরামর্শক নিয়োগের অনুমোদন
দিয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত কমিটির নিয়মিত
বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক
শেষে সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম
সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের এ
তথ্য জানান। আলোচ্য প্রকল্পের দেখভাল
করার জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠান ডেভ
কনসালট্যান্ট লিমিটেড ও ভারতীয় প্রতিষ্ঠান
ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস
লিমিটেডকে যৌথভাবে পরামর্শক
হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বর্তমান সরকারের অগ্রাধিকার প্রাপ্ত
অবকাঠামো খাতের বড় এ প্রকল্পের মেয়াদ
এরই মধ্যে আরও এক বছর বাড়ানো হয়েছে।
চলতি বছরের ডিসেম্বরে বহুল আলোচিত
প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু
যথা সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় মেয়াদ
আবারও বাড়ানো হলো। জানা গেছে, ঢাকা-
চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ
প্রকল্পের সময় আবারও বাড়ানোয় পরামর্শক
প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বেড়ে যাবে। আগের হিসাব
অনুযায়ী, প্রকল্পের তদারকি কাজের জন্য
প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
বর্ধিত সময়ের জন্য বাড়তি খরচ হবে ৪৯
কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ক্রয় কমিটি গতকাল
অতিরিক্ত খরচেরও অনুমোদন দিয়েছে।
গতকাল ক্রয় কমিটি আরও ১৪ প্রকল্পের দর
প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন প্রকল্পটি ২০০৬
সালে একনেকে অনুমোদিত হয়। দু'দফা দরপত্র
আহ্বান বাতিল হওয়ায় ২০১০ সালে কাজ শুরু
হয়। সে সময় প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ
করা হয়েছিল ২০১২ সালের জুলাই পর্যন্ত।
পরবর্তী সময়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের
গাফিলতির কারণে প্রকল্পের কাজ তেমন
এগোয়নি। এ অবস্থায় মেয়াদ বাড়িয়ে প্রথম
দফা ২০১৩ সাল এবং দ্বিতীয় দফায়
চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ
করা হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগ
সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত এ প্রকল্পের
বাস্তবায়ন ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। সরকার
আশা করছে আগামী ২০১৫ সালের
ডিসেম্বরে কাজ শেষ হবে। ১৯৮ কিলোমিটার
দীর্ঘ ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন প্রকল্পের
দেশের অর্থনীতি প্রসারে ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাথমিকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন
প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল দুই
হাজার ১৬০ কোটি টাকা। নির্ধারিত
সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় বর্তমানে ব্যয়
বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ১৯০
কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ প্রকল্পের
জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।
Comments
Post a Comment