শয়তানের দ্বীপ
ছোট্টো একটি দ্বীপের মধ্যে অবস্থিত এই
প্যাপিলন কারাগারটির সূচনা হয় উনিশ শতকের দিকে। যখন ফরাসি সেনা অফিসার
আলফ্রেড ড্রেফুজ এই দ্বীপটিতে সৈন্য মোতায়েন করেছিলেন বিপক্ষ শিবিরের
নৌ-বহরকে আক্রমন করার জন্য। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দ্বীপটিকে কুখ্যাত
অপরাধীদের অন্তরীন করার কাজে ব্যবহার করা হতো। তবে ফ্রান্সের আভ্যন্তরীন
রাজনৈতিক সঙ্কটের কারণে ১৯৫৩ সালে কারাগারটিকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও
পরিবেশগত কারণেও কারাগারটি কয়েদিদের জন্য উপযুক্ত নয়।
এদিকে ব্রিটেনের গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক প্রধান জন ওয়াকার বলেন, ‘যদি ফ্রান্স জিহাদি বা অপরাধীদের সম্পূর্ণ আলাদা করে দিতে চায় তাহলে তাদের উচিত হবে অপরাধীদের সাধারণ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। কারণ আপনি জানেন না যে তাদের কতটুকু ব্রেনওয়াশ করা হয়েছে এবং তারা কি শিখেছে। কিন্তু শয়তানের দ্বীপ পুনরায় উন্মুক্ত করা মানে ঝুঁকি বৃদ্ধি করা।’ কিন্তু ব্রিটেনেরই সাবেক সন্ত্রাস বিষয়ক গবেষক লর্ড চার্লি কিউসি বলেন, ‘এটা ডানপন্থী দলের পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে এর দায়-দায়িত্ব কেউ নেবে না।’
Comments
Post a Comment