শীতে সাইনুসাইটিসের সমস্যায় ভুগছেন? মুক্তির পথ

শীতে সাইনুসাইটিসের সমস্যায় অনেকেই
ভোগেন৷ মাথা ব্যথা, নাক বন্ধ
নিয়ে নাজেহাল অবস্থায় কারই
বা ভালো লাগে এই শীতে জবুথবু
হয়ে বসে থাকতে? আসলে আমাদের নাকের
সাইনাসের টিস্যুগুলো যখন কোনও
ইনফেকশনে বা অন্য কারণে খুব ফুলে যায়,
তখনই হয় সাইনুসাইটিসের সমস্যা৷
কারণ-ঠান্ডা লাগা, অ্যালার্জিক
রাইনাইটিস (নাক দিয়ে ক্রমাগত জল পড়া),
নাকের পলিপ, অ্যালার্জি, ভাইরাল-
ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশনে যখনই নাক ও
কপালের সাইনাসের ভিতরের অংশগুলো বন্ধ
হয়ে যায়, তখনই শুরু হয় সমস্যা৷এছাড়াও
নাকের ড্রেনেজ ডাক্টে কোনও
সমস্যা থাকলে বা গঠনগত বিকৃতিও
অনেকক্ষেত্রে সাইনাসের সমস্যার জন্ম
দেয়৷আবার কয়েকটি ওষুধের পার্শ্ব
প্রতিক্রিয়াতেও হতে পারে সাইনুসাইটিস৷
কারণ তা অনেক সময়ই শরীরের রোগ
প্রতিরোধক ক্ষমতা কমিয়ে দেয়৷
ফলে দেখা যায় সমস্যা৷
সাইনুসাইটিসের লক্ষণ- মুখে,
কপালে ব্যথা বা চাপের অনুভূতি, নাক
থেকে ক্রমাগত জল পড়া, কাশি, নাকে কোনও
কিছুর গন্ধ না পাওয়া, এগুলিই সাইনুসাইটিসের
মূল লক্ষণ৷ সঙ্গে ক্লান্ত লাগা, জ্বর,
দাঁতে ব্যথার মতো উপসর্গগুলোও
আপনাকে ভোগাতে পারে৷
পরীক্ষা- চিকিৎসক সাধারণত সাইনুসাইটিস
হয়েছে কি না, তা বোঝার
ক্ষেত্রে ক্লিনিক্যাল এগজামিনেশন দিয়েই
শুরু করেন৷ তবে প্রয়োজনে বুকের এক্স রে,
ন্যাজাল এন্ডোস্কপি, ব্লাড টেস্ট, মিউকাস
কালচারেরও প্রয়োজন পড়তে পারে৷
চিকিৎসা- সাইনুসাইটিস কোন
পর্যায়ে রয়েছে, তা অ্যাকিউট না ক্রনিক
এগুলি দেখেই করা হয় চিকিৎসা৷প্রথমে বন্ধ
নাক খোলার জন্য ন্যাজাল ড্রপ
বা স্প্রে দেওয়া হয়৷সঙ্গে সেট্রিজিন
বা লিভোসেট্রিজিন গ্রুপের
অ্যান্টি অ্যালার্জিক ওষুধ৷ না কমলে তখন
অগত্যা অ্যান্টিবায়োটিকের শরণাপন্ন
হতে হয়৷ তবে চিকিৎসকের পরামর্শে৷
এছাড়া গরম জলে ভেপার নিলেও ভেতরের
কনজেশন বাইরে বেরিয়ে এসে নাক
খুলে সাময়িক শান্তি মেলে৷ তবে একবার
নিলে হবে না৷ টানা দশ-বারো দিন দুবার
করে নিতে হবে৷
সতর্কতা- শীতে যেন কোনওভাবেই
ঠান্ডা না লাগে, সেই খেয়াল
রাখবেন৷প্রয়োজনীয় গরমজামা পরুন৷ আর
যথাসম্ভব নিজেকে ধুলোবালির হাত
থেকে বাঁচিয়ে চলুন৷

Comments