কাজের ফাঁকে ঢুলুনি কিংবা লুকোতে চৌদ্দবার
উঠে চা-কফি খাওয়ার দিন শেষ৷কারণ এখন পাওয়ার
ন্যাপের যুগ৷ম্যাগাজিন পড়ে আর ইন্টারনেট
সার্চে পাওয়ার ন্যাপ কথাটি
আম বাঙালির এখন আর নতুন কিছু নয়৷
পাওয়ার ন্যাপ ব্যাপারটা হলো কাজের
ফাঁকে নিজের ডেস্কে পনেরো, কুড়ি মিনিট
বা আধঘণ্টা ঘুমিয়ে নিজেকে একটু
চাঙ্গা করে নেয়া৷ এটা করতে পারলে উপকৃত হবেন
আপনি নিজেই৷
সেই সময়ের জন্য কিছুক্ষণ অন্তত দূরে সরিয়ে রাখুন
বসের চোখ রাঙানিকে৷কীভাবে করবেন পাওয়ার
ন্যাপ আর কেনইবা এর
প্রয়োজনীয়তা তা জেনে নিন-
১. যখনই দেখবেন কাজ করতে করতে আর পারছেন না,
শরীরটা অবসন্ন হয়ে আসছে তখন নিজের
ডেস্কে খানিকক্ষণ মাথা রেখে ঘুমিয়ে নিন৷
তবে খুব বেশিক্ষণ নয়৷বড়জোর আধ
ঘণ্টা৷ প্রয়োজনে মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন৷
ঘুম থেকে উঠে দেখবেন নিজেকে বেশ ফ্রেস
লাগছে, কাজেও এনার্জি পাচ্ছেন৷
২. বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত ঘুম থেকে ওঠার
আট ঘণ্টা পর একটা ছোট্ট ন্যাপ নিলে কাজের
ব্যাপারে আরো বেশি মাথা খোলে৷ চটপট
সেরে ফেলা যায় হাতের কাজগুলোও৷ আর
শুধু তাই নয় সঙ্গে মজবুত থাকে স্মৃতিশক্তিও৷আর
শরীর-মন দুটোই ফুরফুরে থাকলে নতুন কাজে হাত
দেয়ার ইচ্ছেটা আপনা-আপনি চলে আসবে৷ মস্তিষ্ক
হয়ে উঠবে আরো বেশি সচল৷
৩. চেষ্টা করুন পাওয়ার ন্যাপ নিতে যাওয়ার
আগে মোবাইল সাইলেন্ট করে যেতে৷
যদি কোনো সোশ্যাল
নেটওয়ার্কিং সাইটে অনলাইন থাকেন
তাহলে সেখান থেকে লগআউট করুন৷আর
কানে হেডফোন গুঁজে শুতে যাবেন না৷কারণ
এটা তো রাতের আয়েশ করে ঘুমানো নয়৷
৪. পাওয়ার ন্যাপের আগে অফিস সংক্রান্ত যাবতীয়
টেনশন দূরে সরিয়ে রাখুন৷একান্তই যদি মাথার
মধ্যে কোনো চিন্তা ঘুরপাক খায় তাহলে নিজের
মনকে এই বলে সান্ত্বনা দিন, আধ ঘণ্টা পর
এটা নিয়ে ভাববো৷এখন তো একটু ঘুমিয়ে নিই৷
৫. গবেষণায় প্রমাণিত, কাজের ফাঁকে পাওয়ার ন্যাপ
হার্টের পক্ষেও উপকারী৷এতে নাকি হৃদরোগজনিত
কারণে মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়৷
প্রতিদিন কাজের মাঝে মাঝে
আধঘণ্টার পাওয়ার ন্যাপ হৃদরোগের সম্ভাবনা প্রায়
৩৭ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়৷
৬. দিনের বেলা একটু আর রাতে ৭-৮ টা ঘণ্টার ঘুম
ঠিকমতো হলে পরের দিন সকালে এক্সারসাইজ
করতে আলাদা তাগিদ পাওয়া যায়৷
ফলে সারাটা দিনই মন থাকে ফুরফুরে৷
৭. তবে কোনো গুরুত্বপূর্ণ
মিটিং বা প্রেজেন্টেশনের আগে পাওয়ার ন্যাপ
নেবেন না৷ ঘুম তো আসবেই না৷
উল্টো শরীরে নানারকম অস্বস্তি বাড়বে৷
৮. মনে রাখবেন, পাওয়ার ন্যাপ নেয়ার
আগে কখনোই ভরপেট খাবেন না৷তারপর
যদি ঘুমিয়ে পড়েন বিপদ।
৯. প্রতিদিন আধঘণ্টা না হোক অন্তত পনেরো-
কুড়ি মিনিটের পাওয়ার ন্যাপও আমাদের
নিত্যনৈমিত্তিক জীবন থেকে স্ট্রেস কম
করতে দারুণ সহায়ক৷আর বর্তমানে চারপাশের
প্রতিযাগিতায় নিজেকে স্ট্রেস
ফ্রি রাখাটা সবচেয়ে বেশি জরুরি৷
১০. নিজের ডেস্কে পাওয়ার ন্যাপ নেয়ার সময়
যদি দেখেন চারপাশে অতিরিক্ত হই-হট্টগোল
রয়েছে, তবে অফিসের কোনো শান্ত ঘর
বা কোণাকে বেছে নিন খানিকক্ষণের জন্য৷
Comments
Post a Comment