মাঠে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান তো কতজনেরই লাগে।
কিন্তু এভাবে, এতটা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ
ছাড়তে কাউকে খুব একটা দেখা যায়নি। তখনই
বোঝা যাচ্ছিল, অবস্থা বেশ গুরুতর। টিভি পর্দায়
দেখা গেল, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে গাড়িতেও উঠলেন
ক্লিনিকের পথে। পরে মাঠে ফিরেছেন, শামিল
হয়েছিলেন দলের জয়ের আনন্দে। সেই আনন্দের
আভা মুখে নিয়েই দিন শেষে মাইকেল ক্লার্ক
শোনালেন চরম বিষাদের কথা, ক্রিকেট
ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দিতে পারে এই চোট!
বাঁ হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে এই
টেস্টে খেলা নিয়েই সংশয় ছিল ক্লার্কের।
হিউজের মৃত্যুর ঘটনায় টেস্ট পিছিয়ে যাওয়ায়
খানিকটা সময় পেয়েছেন। তার পরও ফিজিও-
নির্বাচকদের বাধা না মেনে অনেকটা জোর করেই
খেলেছেন। প্রথম ইনিংসে পিঠের চোট নিয়ে মাঠ
ছেড়ে আবার ফিরে এসে করেছেন দুর্দান্ত এক
সেঞ্চুরি। কাল ফিল্ডিংয়ের সময় টান লাগল ডান
হ্যামস্ট্রিংয়ে। পরে স্ক্যান নিশ্চিত করেছে,
ছিঁড়ে গেছে হ্যামস্ট্রিং। পিঠের চোট
তো আছেই। সঙ্গে বাঁ হ্যামস্ট্রিংয়েও
পুরোনো চোট। ৩৩ বছর বয়সেই তাই অনিশ্চিত
ক্যারিয়ার!
ক্লার্ক নিজেই দিন শেষে জানিয়েছেন সংশয়ের
কথা, ‘জানি না কত দিনের জন্য বাইরে যাচ্ছি।
বিশ্বকাপের আগে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের
বাকি আছে আর আট সপ্তাহ...আসছে ত্রিদেশীয়
সিরিজে, বিশ্বকাপে খেলতে পারলে খুবই
ভালো লাগত। কিন্তু অপেক্ষা করা ছাড়া কিছু
করার নেই। বিশ্বকাপ মিস করার সংশয়
তো আছেই, এমনও হতে পারে আর কখনো খেলতেই
পারব না! আশা করব তেমন কিছু হবে না।
মাঠে ফিরতে সম্ভব সবকিছুই করব। তবে বাস্তবতাও
বুঝতে হবে আমাকে...।’
সেই বাস্তবতা যদি হয় কঠিন কিছু, শুধু
অস্ট্রেলিয়া নয় ক্রিকেট-বিশ্বের জন্য
সেটি হবে দুঃসংবাদ। এই টেস্টে জোর
করে মাঠে নামায় তবু আক্ষেপ নেই ক্লার্কের,
‘হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়েও এই
টেস্টে মাঠে নামায় কোনো আক্ষেপ নেই আমার,
আক্ষেপ নেই পিঠের চোটে ফিরে গিয়ে আবার
ব্যাটিংয়ে নামায়।’
তিনি দল-অন্তঃপ্রাণ, এমন বলবেনই। কিন্তু
ক্যারিয়ারই যে এখন অস্তের পথে! স্টার স্পোর্টস,
ক্রিকইনফো।
Comments
Post a Comment