উষ্ণতার চাদর নিয়ে চা বাগানে চেইজ বিগিনস

সিলেট: পৌষের শুরু থেকেই সিলেট
অঞ্চলে ঝেঁকে বসেছে শীত। দিনে কুয়াশায়
ডাকা পড়ছে সূর্য। আর রাতের শৈত্যপ্রবাহ আর
কনকনে শীতে জবুথবু হয়ে পড়ছেন মানুষ। এই
তীব্রতা আরো বাড়বে বলে আবহাওয়া অফিস
জানিয়েছে।
শীতের কামড়ের হাত থেকে ছিন্নমূল ও দুস্থ
মানুষদের রক্ষা করতে তাদের
মাঝে বিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে শীতবস্ত্র।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেট শহরতলীর
খাদিম কালাগুল চা বাগানে তারুণ্য নির্ভর
সামাজিক সংগঠন ‘চেইজ বিগিনস’র
উদ্যোগে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
এই উষ্ণতার
চাদরে হাসি ফুটেছে চা বাগানে অবসরপ্রাপ্ত
দুই শতাধিক চা-শ্রমিকের। শীতবস্ত্র
নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফিরেছেন তারা।
তাদেরই একজন ষাটোর্ধ্ব নারী চা শ্রমিক
রুহিনি তন্তুবাই।
চেইজ বিগিনসের চাদর পেয়ে বেশ খুশি তিনি।
বললেন, বাগান এলাকায় বিকেল থেকেই প্রচণ্ড
শীত ঝেঁকে বসে। শীতের তীব্রতায় ও গরম
কাপড়ের অভাবে রাতে ঘুমানো কষ্টসাধ্য
হয়ে পড়ে। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় বাগান
এলাকায় কেউ শীতবস্ত্র দিতেও আসে না।
তবে এবার চেইজ বিগিনস বাগানে কম্বল
নিয়ে আসায় গরীব শীতার্ত শ্রমিকরা খুবই
উপকৃত হয়েছেন।
সংগঠনটির সভাপতি শাকিল জামান
 জানান, পুরো ডিসেম্বর
মাসজুড়েই সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে শীত
বস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সিলেট জেলা জজ
কোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর
(পিপি) অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম, দৈনিক
সিলেটের ডাকের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার
অ্যাডডভোকেট মো. তাজ উদ্দিন,
সমাজসেবী মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ
প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহ দিদার
আলম নবেল, সংস্কৃতিকর্মী সেলিনা চৌধুরী,
কালাগুল চা বাগানের ব্যবস্থাপক প্রদীপ
বর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া চেইজ বিগিনস’র উপদেষ্ঠা রাশেদীন
ফয়সাল, সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার নোমান,
সদস্য ফয়সল রুমন, কৃষাণ কর্মকার, আমিনুল
সোহাগ, তামিমুল করিম হৃদয়, ফাহমিদ আহমদ,
কামরুল ইসলাম রুনেল, আল-মারজান, এহতেমাম
নুরেল, সোহাগ খান, তানভির আহমেদ, শারমিন
বনি, তানজিনা চৌধুরী, রাহাত আরা ববি,
সাঈদ আহমদ সীড, আবদুল্লাহ রাজু, খালেদ
উদ্দিন, অভিক দেব, মন্দির কর্মকার প্রমুখ অংশ
নেন।
‘আর্ত মানবতার সেবায় নিয়োজিত
থেকে দেশকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়
নিয়ে’ গেল বছরেরর ২৯ নভেম্বর সিলেটের
একঝাঁক তরুণের সমন্বয়ে গঠিত হয় সমাজ
সেবামূলক এই সংগঠন।

Comments