ফরাসি পত্রিকা শার্লে এবদো-তে ও
শহরে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে ১৭ লক্ষ মানুষ
পা মেলাল । জঙ্গি হামলায় মৃতদের
শ্রদ্ধা জানিয়ে এই মিছিলে ঘুরে দাঁড়ানোর
শপথ নেওয়া হল । প্যারিসে আয়োজিত এই
শান্তি মিছিলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট
ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদে থেকে জার্মান চ্যান্সেলর
অ্যাঞ্জেল মর্কেল পা মেলালেন ।
মিছিলে ছিলেন ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন,
স্পেনের রাষ্ট্রনেতারা ।সন্ত্রাস বিরোধী এই
মিছিলে পা মেলালেন ইজরায়েলের
প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিল নেতানিয়াহু,
প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রপতি মেহেমুদ আব্বাস ।
মিছিলে রঙিন পেন্সিল হাতে ১৭ লক্ষ
প্রতিবাদী জনতা স্লোগান তোলে আমিই
শার্লি ।
এদিকে, শার্লে এবদোর দফতরে হামলার দায়
স্বীকার করল আল কায়েদা ।এপি সূত্রের খবর, এক
আল কায়েদা সদস্য
বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে শার্লে এবদোর
দফতরে হামলা চালানো হয় এই জঙ্গি গোষ্ঠীর
নেতৃত্বের নির্দেশেই । এই
জঙ্গি জানিয়েছে মুহাম্মদকে অসম্মান করার
প্রতিশোধ নিতেই এই হামলা ।যদিও, এই
রিপোর্টের পিছনে এখনও কোনও
সরকারি অনুমোদন পাওয়া যায়নি । মার্কিন
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, আল কায়েদা সরাসরি এই
হামলার সঙ্গে জড়িত নাকি দুই বন্দুকবাজ ভাই
সইদ ও শেরিফ কোয়াচিকে তারা সাহায্য
করেছিল কিনা সে বিষয়ে তদন্ত চলছে ।
অন্যদিকে, আবার হামলা সংবাদমাধ্যমের
দফতরে । প্যারিসের পর এবার জার্মানির
হামবুর্গে একটি সংবাদপত্রের দফতরে হামলা হয়
রবিবার সকালে । দফতরের জানালা লক্ষ্য
করে পাথর ছোঁড়ে আততায়িরা । আগুন
লাগিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা হয় । তবে এখনও পর্যন্ত
কোনও হতাহতের খবর নেই ।স্থানীয়
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, বিতর্কিত
কার্টুন প্রকাশিত হয়েছিল ওই সংবাদপত্রে ।
সেই কারণেই হামলা কী না,
তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
শার্লে এবদোয় দফতরে নক্কারজনক
জঙ্গি নাশকতার পর মত প্রকাশের
স্বাধীনতা নিয়ে সরব হয় হামবুর্গের
মর্গানপোস্ট নামে ওই সংবাদপত্রটি ।
শার্লে এবদোয় কিছু কার্টুন তাঁরা সংবাদপত্রের
প্রথম পাতায় ছাপা হয়েছিল। হেডলাইন ছিল,
"This much freedom must be possible!'
এই ঘটনায় দু'জনক আটক করেছে পুলিস । প্রশ্ন
উঠছে শার্লে এবদোয় হামলার সঙ্গে এর যোগ
কোথায়? হেমবার্গের এক পুলিশ আধিকারিক
জানিয়েছেন, এখনও এটা নিশ্চিত
করে বলা সম্ভব নয় । যাঁদেরকে আটক
করা হয়েছে তাঁদের পরিচয় সম্পর্কেও বিস্তারিত
কিছু বলতে চাইছে না পুলিশ ।
Comments
Post a Comment