তরুণী সারিকার কৃষ্ণাঙ্গ বর, অতঃপর...

দূরত্ব কয়েক হাজার কিলোমিটারের।কিন্তু মনের
মিল তো আর দেশ,সীমান্ত মানে না।এও সেরকমই একটি প্রেম-কাহিনি।মধুরেণ সমাপয়েত্-ও হয়েছিল। আফ্রিকান
যুবককে ভালোবেসেছিলেন ভারতীয়
যুবতী সারিকা। সারিকার বাড়িতেই
পরিচারকের কাজ করতেন ওই যুবক। কিন্তু
তারপর? সব শেষ হয়ে গেল বিয়ের পরই।
সংস্কৃতির অমিল, নাকি প্রতারণা? সারিকা-
তিমোথির প্রেম কাহিনিতেই আপাতত
মজে সন্ত্রাস বিধ্বস্ত কেনিয়া।
কেনিয়ায় অনেকেই এই প্রেম কাহিনিকে 'A
village Cinderella story' বলছেন। তোলপাড়
মিডিয়াতেও। প্রায় ৪ বছর আগের কথা। বছর
চব্বিশের গুজরাটি যুবতী সারিকা বাবার
কর্মসূত্রে কেনিয়ায় থাকেন। ধনী পরিবারের
এই যুবতী প্রথম দেখাতেই বছর পঁচিশের
তিমোথি খামালার প্রেমে পড়ে যান।
খামালা আসলে সারিকার বাড়ির চাকর
ছিলেন। একদিন সারিকার বাবার
গাড়ি মুছছিলেন তিমোথি। সেদিনই
তিমোথিকে ভালোবেসে ফেলেন
ধনী পরিবারের কন্যা সারিকা। ঠিক করেন,
তিমোথির সঙ্গেই তিনি ঘর বাঁধবেন। কিন্তু
রুখে দাঁড়ায় সারিকার পরিবার। অত্যন্ত গরিব
এক আফ্রিকান যুবকের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক
মেনে নিতে পারেননি সারিকার বাবা।
তিনিমেয়েকে জানিয়ে দেন, খামালার
সঙ্গে বিয়ে করতে হলে তাঁকে বাড়ি ছাড়তে হবে।
তিমোথির ভালোবাসায় বাড়ি ছাড়তেও
রাজি হয়ে যান সারিকা।
সারিকা জানিয়েছেন,
তিমোথি তাঁকে জানিয়েছিলেন
যে তিনি বিবাবিত। কিন্তু তা সত্ত্বেও
তাঁদের বিয়ে হয়। ইতোমধ্যে তিমোথির
স্ত্রী কিছু দামি জিনিসপত্র
চুরি করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপর
২০১৪-র ১৯ জুলাই
তাঁরা আইনি মতে বিয়ে করেন।
এবং প্রাসাদপম বাড়ি ছেড়ে আফ্রিকান
আদিবাসী জনগোষ্ঠীর যুবক খামালার
কুঁড়ে ঘরে সংসার শুরু করেন। খামালার
পরিবারও সারিকাকে কাছে টেনে নেয়।
তিমোথি মাছ-মাংস খেতেন। কিন্তু
সারিকা যেহেতু শাকাহারি, তাই তিমোথিও
মাছ-মাংস ছেড়ে দেন।
কিন্তু গোল বাঁধে কয়েক মাস বাদেই।
সারিকা জানিয়েছেন, তিমোথির ব্যবহার
ধীরে ধীরে তিক্ত হতে থাকে। যখন তখন
অকারণে তাকে চূড়ান্ত হেনস্থা শুরু করেন
খামালা। এমনকি কয়েক দিন আগে শরীর
খারাপ হয়েছিল সারিকার। কিন্তু
খামালা তাকে ডাক্তারের
কাছে নিয়ে যাওয়া তো দূর-অস্ত।
উল্টে অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু করে দেন।
সারিকা এখন আফ্রিকার প্রত্যন্ত গ্রামে একা।
তার বাবাও তাকে আর ফেরাতে রাজি নন।
সারিকার বাবা সারিকাকে বলেছেন,
'আমি তোমায় সব রকম সাহায্য করব। কিন্তু
বাড়ি ফেরাবো না।' কিন্তু
দেশে ফিরতে যে মরিয়া সারিকা।
তিনি সুস্থ জীবন চান।
সারিকা-খামালার প্রেম নিয়ে তোলপাড়
হয়ে গিয়েছে কেনিয়ার সংবাদমাধ্যম।
গোটা কেনিয়াবাসীই এখন চাইছে, দু'জনের
মিল হয়ে যাক। অসম প্রেম সফল হোক। -Times
of India

Comments