৯০ মিনিটের দিবানিদ্রা অবিশ্বাস্যভাবে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়

স্বাধীন :-
ঘুম না হলে শরীর নিশ্চয়ই
আপনাকে সিগনাল দেয়, আপনি হয় সবসময়
ক্লান্ত অনুভব করেন নয়ত প্রায়ই অসুস্থ
হয়ে পড়েন। যতই
ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া আর ব্যায়াম করুন,
ঘুম পূরণ না হলে আপনার স্বাস্থ্যে তার
প্রভাব পড়বেই। দিনের বেলা ভাতঘুম
দেয়া অনেকেরই প্রিয়।
যারা দিবানিদ্রা পছন্দ করেন তাদের জন্য
সুখবর। সম্প্রতি বার্কলের
ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে,
দিবানিদ্রা অবিশ্বাস্যভাবে পুরো মস্তিষ্কের
ক্ষমতা বাড়ায়। ৩৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক
ব্যক্তির ওপরে চালানো হয় এ গবেষণা।
দিবানিদ্রা যা যা উপকার করে:
১) অকালে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে
এ কারণেই দিনের ঘুমকে ‘বিউটি স্লিপ’
বলা হয়। আমাদের শরীরের মরা কোষগুলোর
জায়গায় দ্রুত নতুন কোষ বানানোর জন্য
যে হরমোন কাজ করে, দিবানিদ্রা সেই
হরমোনকে উদ্দীপিত করে, ফলে ত্বক নতুন
জীবন পায়।
২) পারফর্মেন্স ভাল করে
দিনে ঘুমালে মানসিক ও শারীরিক
কাজকর্ম করার ক্ষমতা বাড়ে, প্রচুর
পরিশ্রমের পর ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে,
এমনকি যেকোনো অ্যাথলেটিক
পারফর্মেন্স উন্নত হয়। গবেষকদের মতে,
গভীর ঘুমে পৌঁছানোর আগে অন্তত ২০
থেকে ৪০ মিনিটের ঘুমের একটা পর্যায়
থাকলে সেটাই দেহের পক্ষে আদর্শ। এই
গবেষণায় অংশ নেয়া ভলান্টিয়ারদের
মধ্যে যারা ৯০ মিনিট
ঘুমিয়েছে তারা কিছু টেস্টে ভাল ফল
করেছে, যারা ঘুমায়নি তাদের তুলনায়।
৩) কোষকে সারিয়ে তোলে
ঘুমের সময় মানুষের শরীর সবকিছু মেরামত
করে আগের অবস্থায় ফেরানোর কাজ করে।
এছাড়া স্ট্রেস ও টক্সিন আমাদের
যা ক্ষতি করে তা সারাতে ঘুম
একটি প্রোটিন উৎপন্ন করে। হালকা ঘুম
গ্রোথ হরমোনকে জাগিয়ে তোলে, এই
হরমোন টিস্যু ও পেশী ঠিক করে।
৪) মেমোরির ক্ষমতা বাড়ায়
এই গবেষণায় দেখা গেছে যে দিনের
হালকা ঘুম মস্তিষ্ককে সচল রাখে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ঘুমের ফলে শর্ট-
টার্ম মেমোরিগুলো লং-টার্ম
মেমোরিতে রূপান্তরিত হয়। অবাক হচ্ছেন?
ভাবছেন কীভাবে? মস্তিষ্কের
অস্থায়ী ভাণ্ডার
খালি করে টুকিটাকি স্মৃতি, তথ্য
ইত্যাদি স্থায়ী ভান্ডারে নিয়ে গিয়ে,
যাতে করে নতুন নতুন তথ্য
আপনি খালি জায়গায় আবার
রাখতে পারেন।
গবেষকরা মস্তিষ্ককে ইমেইলের ইনবক্সের
সাথে তুলনা করেন। ইমেইলের ইনবক্স
ভর্তি হয়ে গেলে যেমন
বাড়তি অকেজো মেইল ফেলে নতুন
করে জায়গা করতে হয়
তেমনি মস্তিষ্কে নতুন তথ্যের জন্য
জায়গা করতে সাহায্য করে ঘুম।
৫) ওজন কমাতে সাহায্য করে
খাওয়ার রুচি নিয়ন্ত্রণ করে লেপটিন ও
ঘ্রেলিন হরমোন। ঘুমের
স্বল্পতা বা রুটিনের যেকোনো এদিক-
ওদিক হলেই হুট করে খাওয়া বেড়ে যায়। এই
হরমোন দুটোর ভারসাম্য রক্ষা করে দিনের

Comments