দরিদ্র পিতা-মাতার সন্তান দুই বছরের ছোট্ট শিশু শাওনের হৃদযন্ত্রে ছিদ্র দেখা দিয়েছিল। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ছিল দেড় লাখ টাকা। হতদরিদ্র পিতা মাজহারুল ইসলামের পক্ষে এতো বিশাল অংকের টাকা যোগাড় কিছুতেই সম্ভব ছিল না। সৃষ্টিকর্তার করুণা আর হৃদয়বান মানুষের সহায়তাই ছিল তার একমাত্র ভরসা।
সেই ভরসার সন্ধানেই সিলেটভিউ২৪ডটকম-এ শাওনের পরিবার কড়া নাড়ে। শাওনের বাঁচার আকুতি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় সিলেটভিউতে। ছোট্ট এক শিশুর জীবনের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখার মানবিক আবেদন। আহা! মাত্র দেড় লাখ টাকার জন্য থমকে যাবে ছোট্ট একটা জীবন। তবে কি চলতে শুরু করার আগেই ফুরিয়ে যাবে ছোট্ট একটি জীবনের পথ।
মানবিক এই আবেদনে সাড়া দেয় সিলেটের একঝাঁক তরুণের সমন্বয়ে গড়া সংগঠন ‘চেইজ বিগিনস’। সিলেটভিউ২৪ডটকম’র সাথে একাত্ম হয়ে তারা সহযাত্রী হয় শাওনের চিকিৎসা তহবিল গঠনে। সিলেটভিউ ও চেইজ বিগিনস’র এই উদ্যোগ হাওয়ায় হাওয়ায় অনেকের কানেই পৌঁছে যায়, ছুঁয়ে যায় অনেকের হৃদয়।
শাওনের চিকিৎসা তহবিলের জন্য ‘শাওনের জন্য আমরা’ নামে ফেসবুকে একটি ইভেন্টও তৈরি করা হয়। এই ইভেন্টেও সাড়া দেন দেশ-বিদেশের হৃদয়বান মানুষ। টাকার অংকে জমতে থাকে শাওনের জন্য ভালোবাসা।
দুই সপ্তাহে শাওনের জন্য এক লক্ষ টাকা অনুদান সংগ্রহ হয়। ১লা অক্টোবর ২০১৪ সিলেট সিটি করপোরেশন মিলনায়তনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এক লক্ষ টাকা শাওনের মায়ের হাতে তুলে দেয় ‘চেইজ বিগিনস’ ও ‘সিলেটভিউ২৪ডটকম’।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সিরিয়াল পেতে দেরী হওয়া, সারভাইবাল চান্স ৫০-৫০ হওয়া, এসকল জটিলতা কাটিয়ে গত রবিবার শাওনের হৃদযন্ত্রে সফল অস্ত্রপাচার হয়।
আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং সকলের দোয়ায় শাওন এখন সুস্থ হয়ে উঠছে। সে কথা বলতে পারছে, খাওয়া দাওয়া করছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আমাদের ছোট্ট শাওন এখন শঙ্কামুক্ত।
Comments
Post a Comment