ফেসবুক কর্মসংস্থান যোগিয়েছে ৪৫ লাখ মানুষের

২০১৪ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে ফেসবুকের
মূল্য ছিলো ২শ’ ২৭ বিলিয়ন ডলার।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগের এই
মাধ্যমটিতে প্রতিষ্ঠার পর
থেকে বিশ্বব্যাপী ৪৫ লাখ মানুষের
কর্মসংস্থান হয়েছে।
পেশাদারী পরিষেবা ফার্ম ডেলইট্টের
‘ফেসবুক’স গ্লোবাল ইকোনমিক ইমপেক্ট’
শীর্ষক এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে এ তথ্য
বেরিয়ে এসেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
অর্থনীতিতে ফেসবুকের অবদান
সবচেয়ে বেশি। দেশটির
অর্থনীতিতে ফেসবুকের অবদান ছিলো ১শ’
বিলিয়ন ডলার আর কর্মসংস্থানের সুযোগ
হয়েছে ১ মিলিয়ন মানুষের।
অপরদিকে ইউরোপের অর্থনীতিতে ফেসবুকের
অবদান ৫১ বিলিয়ন ডলার আর কর্মসংস্থান
হয়েছে ৭ লাখ ৮৩ হাজার মানুষের।
ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়,
বিশ্বজুড়ে ফেসবুকের ১শ’ ৩৫
কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে।
মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান হিসেবে ফেসবুক
সাধারণত পেইজ
পরিচালনা এবং বিজ্ঞাপণের সুযোগ
দিয়ে থাকে, যা মার্কেটিংয়ের
বাধাগুলো অনেকাংশেই দূর করেছে।
ডেলয়েট্টের মতে, ২০১৪ সালে বিশ্ব
বাণিজ্যে ফেসবুকের প্রভাব ছিলো ১শ’ ৪৮
বিলিয়ন ডলার এবং এই সময়ে ২৩ লাখ
মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ
সৃষ্টি হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটিতে।
অ্যাপস ডেভেলপারদের প্লাটফর্ম হিসেবেও
ফেসবুক বিশ্বব্যাপী অসামান্য অবদান
রেখেছে। ডেলয়েট্টের ওই প্রতিবেদন
অনুসারে, শুধুমাত্র ২০১৪ সালেই ফেসবুক অ্যাপ
ডেভেলপিং প্লাটফর্ম
হিসেবে বিশ্বব্যাপী প্রভাব রেখেছে ২৯
বিলিয়ন ডলারের। আর এই
সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ
সৃষ্টি হয়েছে ৬ লাখ ৬০ হাজার মানুষের।
যোগাযোগের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান
সম্পর্কে নতুন করে আর বলার কিছু নেই। আর
ফেসবুকের কারণেই ইন্টারনেট এতো দ্রুত উন্নত
ও উন্নয়নশীল
দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়তে পেরেছে।
ডেলয়েট্টের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৪
সালে সামাজিক যোগাযোগের
ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান ছিলো ৫০ বিলিয়ন
ডলার এবং বিশ্বব্যাপী ১৬ লাখ মানুষের
কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল
স্যান্ডবার্গ এবিষয়ে টেলিগ্রাফকে বলেন, এই
সময় বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থান সৃষ্টির
একটা তাগাদা আছে।
তিনি বলেন, টেক
প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থনীতিতে অবদান
রাখছে এবং কর্মসংস্থান
সৃষ্টি করতে পারছে, এটা একটা ভালো খবর।
আমাদের জন্য আরো ভালো সংবাদ হল,
প্রতিদিনই সকল ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
ফেসবুককে তাদের ব্যবসা প্রসারের মাধ্যম
হিসেবে ব্যবহার করছে।
তবে কিছু অর্থনীতিবিদ ডেলয়েট্টের এই
প্রতিবেদন সম্পর্কে ভিন্নমত পোষণ করেছেন
বলে জানিয়েছে টেলিগ্রাফ। উদাহরণস্বরূপ,
বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন বিক্রির ছয়ভাগের
এক ভাগের পেছনে কারণ ফেসবুক- এই তথ্য
গ্রহণযোগ্য নয়।
স্ট্যানফোর্ড অর্থনীতিবিদ রজার নল ওয়াল
স্ট্রিট জার্নালকে এক ইমেইলের
মাধ্যমে জানান, ডেলয়েট্টের এই
বিশ্লেষনী প্রতিবেদন অর্থহীন। ইন্টারনেট
ব্যবহার বৃদ্ধিতে ফেসবুক সর্বোচ্চ
একটি প্রভাব বলে বিবেচিত হতে পারে,
কখনোই কারণ হতে পারে না।
এদিকে ডেলয়েট্টের ওই প্রতিবেদনের লিঙ্ক
শেয়ার করে ফেসবুকের
প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মার্ক জাকারবার্গ
এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হল
ফেসবুকের
মাধ্যমে পুরো বিশ্বকে জুড়ে দেওয়া।
আমরা প্রায়ই ভাবি, ফেসবুক
আপনি এবং আপনার আত্মীয়-স্বজন-বন্ধুর
মাঝে যোগাযোগ স্থাপন করছে, যা আপনার
জন্য অত্যন্ত মূল্যবান। কিন্তু এর অর্থ শুধু
এটা না। এর অর্থ ফেসবুক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,
সরকারগুলো এবং অন্যান্য সংস্থার কাজও
সহজ থেকে সহজতর করে দিচ্ছে।

Comments