ফুলঝরিয়াকে মনে আছে? মনে থাকারই কথা। কারণ সম্প্রতি তিনি এক ভিনগ্রহের 'প্রাণী'কে পৃথিবীর একটি ভাষা শিখতে সাহায্য করেছেন। তাও আবার ভোজপুরি! মনে পড়ল? পিকে সিনেমার ওই ছোট্ট অথচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন তিনি একজন
বাঙালি।নাম রিমা দেবনাথ। ১৩ নভেম্বর ১৯৭৯ সালে ত্রিপুরায় তার জন্ম। বাবা সুরেন্দ্র দেবনাথ সরকারি কর্মচারি ছিলেন।বর্তমানে অবসর নিয়েছেন। মা হিরণবালা গৃহবধূ।কলকাতা বিশ্ববিদ্যানয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতক হয়ে এমসিএ পড়া শুরু করেছিলেন। কিন্তু শেষ করা হয়নি।কারণ, ভাগ্য তাঁকে নিয়ে যাচ্ছিল তাঁর গন্তব্যের দিকে।রিমার অভিনয়ের শখ ছিল ছোট থেকেই। সে ভাবনা থেকেই পড়াশোনার সঙ্গেই কলকাতা ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট থেকে অভিনয় শিক্ষাও শুরু করেন।জীবনের প্রথম বড় ব্রেক পান কালার্স-এর জয় শ্রী কৃষ্ণ
ধারাবাহিকে। সেই সঙ্গে দূরদর্শনে চন্দ্রমুখী ধারাবাহিকেও অভিনয় শুরু হয়।তার পর 'সিআইডি', 'আহট'-সহ একগুচ্ছ জনপ্রিয়
টিভি ধারাবাহিকে মুখ দেখানো হয়ে গিয়েছে তার। ২০০৫ সালে বাংলা ছবি 'আলোয় ফেরা' দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখেন রিমা। তবে ছবিটি তেমন ভাবে বাণিদ্যিক সাফল্য পায়নি।
তিন বছর পর হিন্দি ছবি 'পাপ্পু কান্ট ডান্স সালা'-
তে একটি চরিত্রে অভিনয় করেন।সঙ্গে সঙ্গে ভোজপুরি সিনেমাতেও কেয়কটি ছবিতে অভিনয় করতে থাকেন। জীবনের সব থেকে বড় সুযোগ আসে 'বডিগার্ড' সিনেমায় করিনা কাপুর
এবং সলমন খানের সঙ্গে অভিনয় করার।ছবিতে তিনি করিনার বান্ধবী সবিতার চরিত্রে অভিনয়
করেন। সেখানেই নজরে পড়ে যান সকলের।
এর পরই 'পিকে' ছবিতে আমির খানের বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ আসে। চরিত্রটি ছোট, কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ।ভিনগ্রহের মানুষ আমির পৃথিবীর কোনও ভাষাই জানেন না।
ভাষা শিখতে একটি মাধ্যমের প্রয়োজন তাঁর। অর্থাৎ কারও হাত ধরে তার থেকে ভাষাটি রপ্ত করতে হবে তাকে।কিন্তু হাত ধরতে গেলেই সকলে উল্টো বোঝেন। সে সময় অগতির গতি হয়ে মঞ্চে আবির্ভাব হয় ফুলঝরিয়ার। তিনি এক
জন যৌনকর্মী। শেষে আমির বা 'পিকে' তার হাত ধরেই ভোজপুরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যান মাত্র ৬ ঘণ্টায়।চরিত্রটি নিঃসন্দেহে ছোট। কিন্তু এতটুকু সময়ের মধ্যেই অভিনয়ে বেশ ছাপ ফলেছেন রিমা। -এই সময়
Comments
Post a Comment