মেয়েরা পুরুষদের তুলনায় একটু বেশিই
ছবি তোলেন তা সকলেরই জানা। শুধু
ছবি তোলা নয়, তা এডিট করে, ফটোশপে কাজ
করে অথবা নিজের শরীরের বিশেষ কিছু অঙ্গ
ফোকাস করে তবেই ফেসবুক বা অন্যান্য
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দিতে পছন্দ
করে থাকেন। কিন্তু এই কাজটি যখন একজন পুরুষ
করেন তখন ব্যাপারটি কেমন দাঁড়ায়? ২০১৩
সালে স্যামসাং একটি জরিপে দেখান
যে অনেক পুরুষ নারীদের চাইতেও দ্বিগুণ
পরিমাণে ছবি তুলে থাকেন। শুনতে অবাক
লাগলেও তথ্যটি সত্য। গবেষকগণ এইধরনের
পুরুষকে আত্মমুগ্ধতাসূচক এবং মানসিক
বিকারগ্রস্থ বলে আখ্যায়িত করেন।
একজন পুরুষ যদি নিজের অসংখ্য
ছবি তুলে তা ফটোশপের মাধ্যমে এডিট করে,
কালার ইফেক্ট ব্যবহার করে নিজেকে আরও
অনেক আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে পছন্দ
করেন তাহলে তিনি নিঃসন্দেহে একজন
আত্মকেন্দ্রিক মানসিক বিকারগ্রস্থ পুরুষ। এই
তথ্যটি গবেষণার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন
ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকগণ।
জানুয়ারি ৭ এ প্রকাশিত জার্নাল
‘পারসোনালিটি এবং ইনডিভিজ্যুয়াল
ডিফারেন্সেস’ এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।
গবেষক জেসি ফক্স বলেন, ‘একজন পুরুষ
সম্পর্কে এই ধরণের বিষয়টি ভাবতে বেশ
অবাক লাগলেও অনেক পুরুষই এই
কাজটি করে থাকেন’। ওহিও স্টেট
ইউনিভার্সিটি গবেষণা চালায় প্রায় ৮০০
পুরুষের উপর যাদের বয়সসীমা ১৮ থেকে ৪০
বছর। তারা একটি অনলাইন জরীপের
মাধ্যমে তাদের এই আত্মমুগ্ধকর ও
অ্যান্টিসোশ্যাল আচরণ সম্পর্কে ফলাফল
প্রকাশ করেন। তারা বলেন যেসকল পুরুষ এই
ধরণের অতিরিক্ত ছবি তুলে তা ফটোশপের
মাধ্যমে পরিবর্তন করে নিজেকে আকর্ষণীয়
রূপে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেন
তারা নিজেদের অন্য পুরুষের চাইতে অনেক
বেশি যোগ্য, আকর্ষণীয় এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন
ভাবেন। এতে করে তাদের মধ্যে একধরনের
আত্মঅহংকার কাজ করে যা পরিণত হয়
মানসিক সমস্যায়। এইধরনের পুরুষের কাছ
থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়।
কিন্তু তাই বলে সকল মানুষ একই ধরণের হবেন
তা বলা উচিত নয়। তবে স্বাভাবিক অর্থেই
বোঝা যায় যে মানুষটি নিজেকে একটু
আকর্ষণীয় করার জন্য ছবি এডিটিংয়ের
পেছনে অনেক সময় ব্যয় করেন অন্য সব কিছু
বাদ
দিয়ে এবং নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ
করেন তাদের কাছ থেকে দূরে থাকাই
কি ভালো নয়?
Comments
Post a Comment