রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির
কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন কার্যহীন নিরব আর
স্তব্ধ। কার্যালয়ে এখন আগেরমত নেই
নেতাদের আনাগোনা, নেই সংবাদিক
সম্মেলন। সংবাদিক সম্মেলন এবং কার্জক্রম
না থাকাতে নেই সংবাদকর্মীদের
কোনো ভিড়ভাট্টাও। গেটে ঝুলছে তালা। এক
কথায় বলা যায় প্রাণহীন বিএনপির
প্রাণকেন্দ্র।
৩ জানুয়ারি রাতে কার্যালয়ের প্রধান
গেটে তালা লাগানো হয়েছে। দপ্তরের
দায়িত্তে থাকা বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব রুহুল
কবির রিজভী ওই রাতে অসুস্থ
হয়ে পড়লে পুলিশ
তাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পর
রাতে কার্যালয়টির কর্মকর্তা-স্টাফ-
কেয়ারটেকারদের সবাইকে বের
করে তালা লাগিয়ে দেয় পুলিশ।
এরপর গত মঙ্গলবার দুপুর ১টার
দিকে কার্যালয়ে হামলা চালায় বাংলাদেশ
আওয়ামী প্রজন্ম লীগ। এসময়
তারা কার্যালয়ের ডিজিটাল ব্যানার
এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও
সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের
ছবি ভাঙচুর করে। তালাবদ্ধ প্রধান ফটক
ভাঙার চেষ্টা করে।
প্রথমদিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ কিছু
না বললেও পরে তাদের নিবৃত করে।
পরে প্রজন্ম লীগের
নেতাকর্মীরা কাকরাইলের নাইটেঙ্গেল
মোড় দিয়ে চলে যায়।
আজ দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে,
কার্যালয়ে এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
সদস্যরা ছাড়া আর কেউ নেই। কার্যালয়ের
দায়িত্তে থাকা কর্মকর্তা রেজাউল
করিমকে কল করা হলে তার মোবাইল বন্ধ
পাওয়া যায়। কার্যালয়ে কেউ না থাকলেও
কার্যালয়টি ঘিরে কঠোর রয়েছে আইন-
শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর
নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৩ জানুয়ারি রাত থেকে শুরু করে দীর্ঘ ১৭ দিন
পর গত মঙ্গলবার সকাল থেকে হঠাৎ করেই
কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে যায় পুলিশ।
তবে ওইদিনও মূল ফটকে তালা লাগানো ছিল।
কিন্তু এরপর আবার সেখানে অবস্থান নেয়
পুলিশ। পুলিশ সদস্যরা কার্যালয়ের নিচতলার
খালি জায়গাটিতে দিনমান অলস সময়
কাটান। সামনের রাস্তায়ও সারিবদ্ধ
দাঁড়িয়ে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। রাস্তার
ওপর রয়েছে পুলিশের এপিসি কার ও প্রিজন
ভ্যান।
কার্যালয়ের
নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিয়ে পুলিশের একজন
কর্মকর্তার
সাথে কথা বলতে চাইলে ‘কথা বলতে তাদের
অনুমোতি নেই’ বলে আপত্তি জানান তিনি।
এদিকে কার্যালয়ের সামনের সড়কটির মাথায়
ফকিরাপুলের কাছে এবং তার বিপরীত
দিকে বিজয়নগর মোড়ের সামনে ব্যারিকেড
দিয়ে যান ও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ
করছে পুলিশ। মাঝেমধ্যে আশপাশের
গলি থেকে সড়কে ককটেল
ছুড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় বিএনপির
কর্মীরা। এ রকম ঘটনা গত দুই
সপ্তাহে তিনবার ঘটেছে।
Comments
Post a Comment