ঘরে পোষা কুমির

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি বাড়ির পেছনের দিকের উঠানে দুটি বিড়ালের মৃতদেহ অবশিষ্টাংশ পড়ে আছে।এরই পাশে পাওয়া গেল ৮ ফুট দীর্ঘ একটি কুমির।১৯৭০-এর দশক
থেকে জ্যাক্সসন নামের এ কুমিরটি এবাড়িতেই থাকে। বাড়ির মালিকের সে গৃহপালিত।
কুমিরটিকে পুষছিলেন রন গোরেকির (৫৩) বোনের স্বামী।গত বছর তার মৃত্যুর পর রন তার বোনকে কুমিরটির দেখাশোনায় সাহায্য
করছেন। তল্লাশির অনুমতি নিয়ে পশু নিয়ন্ত্রক
কর্মকর্তারা কুমিরটিকে খুঁজে বের করেন এবং এর বয়স প্রায় ৪০ বছর বলে জানান। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মার্ক বলেন, পশু অধিকার বিষয়ক সংস্থাগুলো অপরাধ তদন্তে নেমেছে। ৪০ বছরের মধ্যে কোনো ছোট পোষা প্রাণী হারিয়েছেন এমন বাসিন্দাদের যোগাযোগের অনুরোধ জানিয়েছেন। কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, ৪০ বছরে বিভিন্ন
সময়ে কুমিরটির খাদ্যে পরিণত হয়ে থাকতে পারে ওই এলাকার বাসিন্দাদের নানা পোষ্য প্রাণী।লস অ্যাঞ্জেলেসে বিনা অনুমতিতে বন্য প্রাণী রাখা অবৈধ। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বা কোনো অভিযোগও গঠন করা হয়নি। রন গোরেকি এক
সাক্ষাৎকারে জানান, কুমিরটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তিনি তার বোনকে সাহায্য করেছিলেন।
রন বলেন, আমরা কুমিরটিকে একটি ভালো আবাসস্থল দেয়ার চেষ্টা করেছি। তিনি জানান, তার বোনের স্বামী কুমিরটির জন্য গর্ব ও
আনন্দ অনুভব করতেন। মুরগি, হট ডগ, এ জাতীয় বিভিন্ন খাবার খেতে দেয়া হতো কুমিরটিকে। তবে জীবিত কোনো কিছু
খেতে দেয়া হতো না জ্যাক্সসনকে।
এদিকে নিজেদের পোষা বিড়ালগুলোকে জীবন্ত অবস্থায় কুমিরটিকে খেতে দেয়া হচ্ছে, এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন রন। তিনি বলেন, তেমনটা ঘটেনি। কখনোই এ ধরনের অভিযোগ
আসেনি। কখনো এ ধরনের সমস্যাও হয়নি। গত বছরও কর্মকর্তারা বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে কোনো কুমিরের উপস্থিতি দেখতে পাননি।
এ সপ্তাহে যখন তারা ফের বাড়িটিতে গেলেন তখন বাড়িটির বাসিন্দারা তাদের ভেতরে ঢুকতে দেননি।সে কারণে কর্মকর্তারা তল্লাশির পরোয়ানা নিয়েই বাড়িটিতে ঢোকেন এবং কুমিরটির সন্ধান পান।

Comments