সৌন্দর্যের মাত্রা বাড়াতে চুলের
ভুমিকা অপরিশিম৷ কিন্তু বয়েসের আগেই চুল
পেকে যাওয়ার সমস্যায় পড়ে যান অনেকেই।
তাতে সৌন্দর্য ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷
ইদানীং এই সমস্যাটা খুব
বেশি চোখে পড়ছে। নারী-পুরুষ সবারই এই
সমস্যায় ভোগার হার ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
হেয়ার এক্সপার্টরা বলছেন বেশি মসলাযুক্ত
খাবার খাওয়া, ঘুম কম বা একেবারেই
না হওয়া, চুলের যত্ন না নেওয়া, কম
দামী এবং অনেকরকম হেয়ার প্রোডাক্ট
ব্যবহার করা, আবার অনেকে বলছেন
জেনেটিক বা হরমোনের কারণে বয়স হওয়ার
আগেই চুলে পাক ধরার সম্ভাবনা দেখা যায়।
তবে সঠিক যত্ন নিলে আপনি ঘরে বসেই চুল
পাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন৷
তেল, মেথি ও আমলকী
এক কাপ নারকেল তেল, এক টেবিল চামচ
মেথি গুঁড়ো আর দুই টেবিল চামচ
আমলকী গুঁড়ো একসাথে মিশিয়ে একটি প্যানে
মধ্যে নিয়ে অল্প আঁচে গরম করুন। তেল যখন
আস্তে আস্তে বাদামী রঙ ধারণ করবে তখন
সেটিকে নামিয়ে ভাল
করে ঠাণ্ডা করে ছেঁকে রাখুন। এই
মিশ্রনটি চুলের গোড়ায় এবং মাথার
ত্বকে ভাল করে ম্যাসাজ করুন। ভালো ফল
পেতে রাতেও এটিকে ব্যবহার করতে পারেন।
সকালে উঠে চুল ভাল করে শ্যাম্পু
করে ধুয়ে ফেলুন। এতে করে চুল পাকার
সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন৷
নিয়ম করে চুলের গোড়ায় তেল ম্যাসাজ করুন
সপ্তাহে অন্তত ২/৩ দিন তেল হাল্কা গরম
করে মাথার ত্বকে ভালো করে ম্যাসাজ করুন।
তেল চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায় এবং চুল
পেকে যাওয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে।
আপনি চাইলে তেলে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুলও
ভেঙে মিশিয়ে নিতে পারেন।
শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারের সঠিকভাবে ব্যবহার
করুন
আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু বাছাই
করুন। খুশিমত যেকোন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন
না। এবং শ্যাম্পু ব্যবহার করার পর অবশ্যই
কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।
নাহলে চুলে রুক্ষতা এসে যায় যার ফলে চুল
উঠে যাওয়ারও খুব
সম্ভাবনা থাকে এবং চুলে পাক ধরে ও ণাথায়
টাক পড়ে যায়৷নানা রকমের হেয়ার
প্রোডাক্ত ব্যবহার করবেন না
ঘন ঘন চুলের রঙ পরিবর্তন
করা এবং চুলে মাত্রাতিরিক্ত জেল্ জাতীয়
পদার্থ ব্যবহারের কারণেও অল্প বয়সে চুল
পেকে যাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। তাই এই
সব জিনিসের ব্যবহার যতটা পারবেন কম করুন।
কিংবা খুব ভালো এবং দামি ব্র্যান্ডের
হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন।
মানসিক চাপ মুক্ত করুন নিজেকে
মানসিক চাপ খুব বেশি হলেও চুল পেকে যায়
অল্প বয়সে। তাই মানসিক
চাপে থেকে নিজেকে মুক্ত করুন ও চুল
পেকে যাওয়া থাকে রেহাই পা়ন৷
এই টিপস্গুলো মেনে চলুন আর
নিজেকে করে তুলুন সুশ্রী ও সুন্দর৷
Comments
Post a Comment