যে ছাতা বদলে দিবে ইতিহাস

ছাতা তৈরির ইতিহাস জানেন? না জানলে জেনে নিন।পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম ছাতা তৈরি হয়েছিলো তিন হাজার বছর আগে। বিভিন্ন ইতিহাসবিদের বর্ণনায় মিলেছে এমন তথ্য। এই তথ্যের শুদ্ধতা নিয়ে সন্দেহ করার সুযোগ নেই। আবার পুরোপুরি ভরসা করারও
সুযোগ নেই। তবে সম্পূর্ণভাবে ভরসা করার
মতো একটি তথ্যই আপনাকে জানাবো।
গত তিন হাজার বছরে ছাতার মৌলিক
কোনো পরিবর্তন আসেনি। একটি লোহা বা কাঠের
দণ্ডের উপর গোল করা কাপড়; এই তো ছাতা!
শতাব্দির পর শতাব্দিজুড়ে রোদ-
বৃষ্টি থেকে বাঁচতে এই আকৃতির ছাতাই ব্যবহার
করে এসেছে মানুষ। কিন্তু এবার এসেছে ভিন্ন কিছু।
দণ্ড একটা থাকবে বটে,
তবে ছাতা থেকে চিরতরে বিদা করা হবে কাপড়।
কী, বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে তো! কষ্ট হোক
বা না হোক; বাস্তবতা এটিই। একটি প্রতিষ্ঠান
কাপড়বিহীন ছাতা আবিস্কার করেছে। এ
ছাতা মূলত ইলেক্ট্রিক শক্তিতে চলবে। বৃষ্টির সময়
ছাতার সুইচ অন করে দিলেই তৈরি হবে বাতাস।
গোল হয়ে বাতাস ছড়িয়ে পড়বে। ওই বাতাসের
গতি ভেদ করে নিচে নামতে পারবে না বৃষ্টি।
বাতাস বৃষ্টি উড়িয়ে দিবে নির্দিষ্ট সীমার
বাইরে। এই-ই হলো নতুন আবিস্কৃত ছাতার প্রধান
বৈশিষ্ট।
এখন পর্যন্ত এই ছাতা পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত নয়।
আপাতত মাঝারি বৃষ্টিপাতে এটি কাজ করবে। সুইচ
অন করলে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট পর্যন্ত
বৃষ্টি থেকে বাঁচাতে পারবে আপনাকে। ছাতাটির
নামকরণ করা হয়েছে ‘এয়ার আমব্রেলা’ নামে।

Comments