এখন আর নেই বাংলার ঐতিহ্যবাহী পালকি

পালকির প্রচল কখন, কবে এবং কে করেছিলেন
জানা নেই। তবে একালে বাংলাদেশ সহ
ভারত উপমহাদেশে এর ছিল ব্যাপক প্রচলন।
আভিজাত্য আর পরিবহনের একমাত্র ম্ধ্যাম।
আভিজাত পরিবারের কন্যা, বধূ, সমাজের
উচুস্তরের মানুষ এবং নববধূ পরিবহনের মাধ্যম
ছিল পালকি। ধনী-গরীব যাই হোক
পালকি ছাড়া নববধূকে বরন করা ছিল তখন
কল্পনার বাইরে। ঘোমটা মাথায় নববধূ
পালকিতে চড়ে আসত স্বামীর বাড়ী।
উৎসাহি ছেলে-মেয়েরা ছুটে চলত তার পিছন
পিছন। আর সাথে থাকা বরপক্ষ
বাড়ী পেীছানো অবধি ছেলে-মেয়ে সহ
যারা নববধূকে বহন করা পালকি দেখার জন্য
আসত সবাইকে মিষ্টি বিতরন করত।
পালকির বাহকদের বলা হত বেহারা।
বেহারাদের ছান্দিক এবং শ্রুতিমধুর উহুন-
নাহ শব্দে শুনে বোঝা যেত কেউ নববধূ
নিয়ে যাচ্ছে বা আভিজাত পরিবারের কেউ
যাচ্ছে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী সেই
পালকি এখন আর নেই। দিনদিন যান্ত্রিক
সভ্যতার উৎকর্ষে পালকি এখন স্থান
পেয়েছে যাদুঘরে।
কবিগুরু রবি ঠাকুর তার
বাড়ীতে রাখা পালকিতে বসে শৈশবে লিখে
তার জীবনের প্রথম কবিতা পালকিকে নিয়ে।
তিনি লিখেছিলেন-
তুমি যাচ্ছো পালকিতে মা চড়ে ,আমি যাচ্ছি
চড়ে, টগবগিয়ে তোমার পাশেপাশে। একসময়
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ্য বইয়ে ছিল এই
কবিতা। একনকার সময়ে সেই কবিতা পড়ে হয়ত
কোমলমতি শিশুরা জানতে চাইবে পালকি কে
ছিল। আর শিশুদের জানার
আগ্রহকে পূর্নায়িত করতে হলে তাদের
নিয়ে যেতে হবে যাদুঘর কিংবা পার্কে।

Comments