নিখোঁজ কিউ জেড ৮৫০১ ফ্লাইটের খোঁজ বন্ধ করল ইন্দোনেশিয়া সেনা । সেনা সূত্রে এয়ার এশিয়ার বিধ্বস্ত বিমানের উদ্ধারকার্য শেষ বলে ঘোষণা করা হল । যদিও ইন্দোনেশিয়ার সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি ‘বাসার্নাস’ তাদের তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাবে । সেনা সূত্রে খবর, জাভা সাগরের নিচে বিমানের মূল ধ্বংসস্তুপের কাঠামোটি তোলা যাচ্ছে না । এছাড়াও, উদ্ধারকার্যে নিয়োগ করা হয়েছে যে ডুবুরিদের, তারাও অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের চিকিৎসা করতে হচ্ছে । তাই আপাতত সেনা সদস্যদের ক্যাম্পে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেনা কর্তৃপক্ষ ।
গত ২৮ ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুরগামী কিউ জেড ৮৫০১ ফ্লাইটটি বিধ্বস্ত হয়ে জাভা সাগরে তলিয়ে যায় । ইন্দোনেশিয়ার সেনা ‘লিফটিং ব্যাগ’ ব্যবহার করে তিন দিন ধরে বিমানের মূল কাঠামো সাগরের নিচ থেকে তুলে আনার চেষ্টা করে । শুরুতে উদ্ধারকারীরা ভেবেছিলেন, যাত্রীদের মৃতদেহ বিমানের মূল কাঠামোর ভেতর আটকে পড়ে রয়েছে । কিন্তু এখন তাদের অনুমান, খুব সম্ভবত সেখানে আর কোনও মৃতদেহ নেই । তাই বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারকে এখন তাঁরা আর অগ্রাধিকার দিচ্ছেন না ।
বিমানে মোট ১৬২ জন আরোহী ছিলেন । এখন পর্যন্ত মাত্র ৭০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে । ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান বহুবার ব্যাহত হয়েছে । গত শনিবার বিমানের কাঠামোটি তোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় উদ্ধারকর্মীরা । কঠামোটি তোলার সময় সেটি ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে আবার ডুবে যায় । তার আগের দিন ডুবুরিরা সাগরের ৩০ মিটার গভীরে থাকা বিমানের মূল কাঠামোয় ঢুকতে সক্ষম হন । বিমানের ককপিট, ভয়েস রেকর্ডার ও ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার আগেই উদ্ধার করা হয়েছে । এখনও পর্যন্ত যে সব তথ্য পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, খুব দ্রুতগতিতে উপরে উঠতে গিয়েই বিমানটি ভেঙে পড়ে ।
Comments
Post a Comment