আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মিসরে বিয়ের পোশাক পরে অবিবাহিত
কোনো নারী রাস্তাঘাটে চলাচল
করতে পারে না। এক্ষেত্রে সামাজিক
সংস্কার তার পথরোধ করে। কিন্তু এ
বাধা মানতে রাজি নয় ২৭ বছর
বয়সী সামা হামদি। এ নারী মিশরের
প্রচলিত সংস্কার ভাঙতে চেয়েছে। তাই এ
ব্যাপারে উদ্যোগও নিয়েছে।
গণমাধ্যমকে তিনি জানান, অবিবাহিত
কোনো নারীর প্রতি সমাজের যেসব
নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আছে এর মধ্য
দিয়ে সেগুলোর ওপরেই তিনি আলোকপাত
করতে চেয়েছেন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়
মাটিতে ছুঁয়ে গেছে এ রকম
লম্বা শাদা একটি বিয়ের পোশাক পরে এক
বছর সময় ধরে তিনি হেঁটেছেন। এ সময় তার
ছবি তোলা হয়েছে। তার মুখের কিছুটা অংশ
পর্দায় ঢাকা ছিলো।
সামা হামদি একজন ইন্টেরিয়ার ডিজাইনার।
পারফরমেন্স আর্টের ওপর তিনি মাস্টার্স
করছেন। জানান, কখন তিনি বিয়ে করবেন
সেটা নিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে বহুবার
কথা কাটাকাটি হয়েছে।
তিনি জানান, আপনি কতোটা সফল
সেটা কোনো বিষয় না, বিষয়
হলো আপনি বিবাহিত কিনা। মনে হয় সেটাই
সবচে গুরুত্বপূর্ণ। যেন এর জন্যেই মেয়েদের জন্ম
হয়েছে।
তিনি বলেন, সমাজ দেখতে চায়
আপনি বিয়ে করেছেন কীনা এবং আপনার
সংসার আছে কীনা। এসব ছবি তার ফেসবুক
পাতায় পোস্ট করার পর তাতে বহু মানুষ মন্তব্য
করেছেন।
মোস্তাফা শালাবি নামে একজন লিখেছেন,
ব্র্যাভো। খুব বাজে একটা সমাজ। কিন্তু
আরেকজন মশিরা ওরতিজ লিখেছেন,
যে ব্যক্তির এখন কোনো সন্তান নেই, এখন তরুণ
ঠিক আছে, কিন্তু
বার্ধক্যে পৌঁছালে তাকে দেখার আর কেউ
থাকবে না।
বিয়ের পোশাক পরে তার ঘুরে বেড়ানোর
একটি ভিডিও সমপ্রতি একটি পুরষ্কারও
জিতে নিয়েছে। তবে এসব ছবি ও ভিডিও
বাড়িতে তার পরিবারের লোকদের মন জয়
করতে পারেনি। কারণ তার
মা এখনো মনে করেন সে একজন চিরকুমারী।
মিসরে বহু নারী কুড়ির পরেও অবিবাহিত
থাকেন। ২০১১ সালের সরকারি এক
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রায় ৯০ লাখ
মানুষ বিয়ে না করেই ৩৩
বছরে পৌঁছেছে এবং তাদের অর্ধেকই হচ্ছেন
নারী।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ৩৩
বছরে পৌঁছে নারী তার যৌবনের ভাটার
দিকে নামতে থাকে। এ পর্যায়ে এসেও
যদি দেশটির নারীদের মনোভাব
বিয়ে না করে কাটিয়ে দেয়া হয়
তবে তা সমাজের ভারসাম্য হারাবে।
তবে মিশরের নারীদের মতামত, বিয়ের জন্য
বয়স কোনো বাঁধা নয়।
Comments
Post a Comment