মাত্র দু’তিন বছর আগের কথা।
যুক্তরাষ্ট্রে তখনও প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রির
বৈধতা মেলেনি। সে সময় মাদকদ্রব্য
ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রনে গাঁজা বিক্রি হত
আড়ালে কঠিন গোপনীয়তার মধ্য দিয়ে। কিন্তু
এখন সে দিন বদলেছে। বিভিন্ন
অঙ্গরাজ্যে গাঁজা বিক্রির বৈধতার পর
জমজমাট হয়ে উঠেছে এ ব্যবসা।ী খবর
দিয়েছে বার্তা সংস্থা বাংলা প্রেস।
সাম্প্রতি বেশ
কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে গাঁজা বিক্রির অনুমতির
পর সরকারি উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত
হচ্ছে গাঁজার দোকান। বেসরকারি উদ্যোগেও
সরকারি লাইসেন্স নিয়ে অনেকেই দোকান
খুলছে। গাঁজা উৎপাদনকারী বিভিন্ন দেশের
সঙ্গে চলছে নিত্যনতুন চুক্তি।
সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার
ওকল্যান্ডভিত্তিক
গবেষণা সংস্থা ক্যানাবিস
ইন্ডাস্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ
তাদের এক গবেষণায় এই ক্রমবর্ধমান ব্যবসার
বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে।
সংস্থাটির গবেষণা মতে, ২০১৩
সালে যুক্তরাষ্ট্রে গাঁজা বিক্রি থেকে প্রাপ্
মুনাফার পরিমান ছিল এক দশমিক পাঁচ
বিলিয়ন ডলার। তকে ২০১৪ সালে সেই
মুনাফার পরিমান বেড়ে দিয়ে দাড়ায় দুই
দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার।
তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো,
চলতি বছরের শুরুর দিকে বেশিরভাগ
ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানই গত দুইবছরের তুলনায়
এবার চারগুন মুনাফার আশা করছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি শতাধিক বৈধ গাঁজার
দোকানে পর্যবেক্ষন
এবং আলোচনা চালিয়ে এই গবেষণা দাড়
করিয়েছেন। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন
অংশে বৈধ গাঁজা উৎপাদন খামার
এবং খামারির সংখ্যাও
বাড়ছে বলে জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের
গাঁজা সংক্রান্ত একটি সংস্থার সিইও ট্রয়
ডায়টন অবশ্য জানান, ‘গত বছর
থেকে গাঁজা ব্যবসায়ের মুনাফার
দিকটি যুক্তরাষ্ট্রবাসী বুঝতে পেরেছে।
আর বর্তমানে গোটা আমেরিকাতেই
গাঁজা ব্যবসা সবচেয়ে লাভজনক
এবং মুনাফা অর্জনকারী ব্যবসা। তবে এখনও
অনেক বড় বড় ব্যবসায়ি আছেন যারা এই
ব্যবসার মুনাফা সম্পর্কে অতটা স্বচ্ছ নয়। ২০১৫
সালের শুরুতেই গোটা আমেরিকায় নতুন
করে ৩২টি গাঁজা উৎপাদনকারী অঞ্চল
ঘোষণা হয়েছে।’ ধারণা করা হচ্ছে,
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গোটা আমেরিকায়
গাঁজা ব্যবসা আরও প্রকট আকার ধারন করবে।
পাশাপাশি যে সকল অঙ্গরাজ্য
এবং অঞ্চলগুলো এখনও
গাঁজাকে বৈধতা দেয়নি, তারাও
গাঁজা বৈধকরণ প্রক্রিয়ার আওতায়
চলে আসবে বলেও মনে করছেন ওয়ালস্ট্রিটের
ব্যবসায়িরা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৯ সাল
নাগাদ খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই
গাঁজা বিক্রি করে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার
মুনাফা ব্যবসায়িদের পকেটে ঢুকবে।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে প্রায় দেড় মিলিয়ন
গাঁজার দোকান আছে। শুধুমাত্র
কলোরাডো এবং ওয়াশিংটনেই গত বছর একশ
মিলিয়ন ডলারের গাঁজা বিক্রি হয়েছে। আর
গত বছর গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ৩৭০ মিলিয়ন ডলার
মূল্যের গাজা বিক্রি হয়েছে। যা বৈধ
গাঁজা বিক্রির ইতিহাসে রেকর্ড।
ব্যবসায়িরা দেশটির কিছু কিছু
অঞ্চলকে পাইকারী গাঁজা বিক্রির সেন্টার
হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে। যেখান
থেকে গোটা আমেরিকার
গাঁজা ব্যবসায়িরা খুচরা বিক্রির
উদ্দেশ্যে গাঁজা কিনতে পারবে এবং বিক্রি করতে পারবে।
Comments
Post a Comment