নিজের অনুভূতিকে নিয়ন্ত্রন করা… সম্ভবত
এটাই পৃথিবীর সবচাইতে কঠিন কাজ।
হয়তো চারপাশের সব যুক্তি বাস্তবতা সবই
বুঝতে পারছেন, তবু মনকে মানানো যায় না।
হরহামেশাই বিষন্নতা গ্রাস
করে বসে মনে যেন সামনে এগোতেই
দিচ্ছে না আপনাকে।
তবুও তো জীবন থেমে থাকে না এ পৃথিবীতে।
নিজের অনুভূতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ
করে এগিয়ে যেতে হয় সামনে। মনোরোগ
বিশেষজ্ঞরা অনেক পন্থাই বলেছেন এই
বিভ্রান্তি কাটিয়ে উঠতে। এর সবগুলোই
যে আপনার জন্য সঠিকভাবে কাজ করবে এমন
নয়, তবে কিছুটা হলেও সহায়তা করবে। চলুন
এরই মধ্য থেকে দেখে নেওয়া যাক কিছু
প্রয়োজনীয় উপায়।
“রিল্যাক্স” থাকুন-
খুব অল্পতেই কোনো বিষয়ে অতিরিক্ত চাপ
না নেওয়াই উত্তম। মানুষ যখন নিজের
কোনো চিন্তা বা অভ্যাস পরিবর্তনে ব্যর্থ
হয়, তখন সে মনে করে কাজটি খুবই কঠিন।
নিন্দুকেরা অবশ্য বলবেন তাদের যথেষ্ট
সদিচ্ছা ছিল না। কিন্তু আসল কারণ হলো এ
বিষয়গুলো জোড় করে নিজেদের উপর
চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ধরনের
চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়টি মন ও শরীর দু’টোর
জন্যই খারাপ।
নিজেকেই প্রশ্ন করুন-
আমরা প্রতিনিয়ত নিজেদের অনেক প্রশ্ন
করি কিন্তু প্রশ্নগুলো আমাদের
মনে নেতিবাচক ধারনাই তৈরী করে বেশী।
আমরা হয়তো নিজেকেই মাঝে মাঝে প্রশ্ন
করি কেন আমাকে এটা করতে হবে?
প্রশ্নটা পরিবর্তন করে নিজেকে জিজ্ঞেস
করুন, কীভাবে এটা আমাকে সাহায্য করবে?
প্রশ্নটাকে সমাধানের দিকে নিয়ে যান।
প্রতিদিন হাসুন-
এই মুহূর্তেই ৩০ সেকেন্ডের জন্য হাসার
চেষ্টা করুন। পার্থক্যটা নিজেই
বুঝতে পারবেন। আপনি যেমনই অনুভব করেন
না কেন হাসি আপনার
শরীরকে চাঙা করে আপনাকে রাখবে ফ্রেশ
ও প্রশান্ত।
পরিমিত পরিমান খাবার খান-
যদি নিজেকে খুবই ক্লান্ত ও হতাশাগ্রস্ত
মনে হয়
তাহলে শরীরে শক্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসতে প
মতো খেতে হবে। অধিক পরিমান
খাওয়া শরীরকে ক্লান্ত ও অলস করে দেবে,
আবার নিয়ম মাফিক না খেলেও দুর্বল ও
ক্লান্ত লাগবে। তাই প্রতিদিনই রুটিন
করে পরিমিত খাবার খান।
মাঝে মাঝেই স্মৃতি রোমন্থন করুন-
ধরুন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে অথবা প্রিয়
মানুষটির সাথে দেখা করতে যাচ্ছেন, এমন
সময় নিজের ভেতর খুবই নার্ভাস অনুভব
করছেন। কী করবেন এমন সময়?
অতীতে ঘটে যাওয়া অনুপ্রেরনাদায়ক
ভালো স্মৃতি মনে করুন যা আপনাকে নিজের
যোগ্যতার কথা মনে করিয়ে দেবে।
এবং নিঃশন্দেহে আপনি আগের
চাইতে ভালো অনুভব করবেন।
প্রতিদিন এই কাজগুলো কিছুটা হলেও
আপনাকে ভালো অনুভব করতে সাহায্য করবে।
আজ থেকেই শুরু করে দিন, অন্তত চেষ্টা করুন।
তবে প্রথমেই চোখে পড়ার মতো ফল
আশা করাটা উচিত হবে না নিশ্চয়ই।
Comments
Post a Comment