সংলাপের জন্য হামিদ, হাসিনা ও খালেদাকে চিঠি

সংলাপের ‘শুভ উদ্যোগ’ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনাকে অনুরোধ জানিয়েছে নাগরিক সমাজ।
সংগঠনটি সংলাপের উদ্যোগ সংক্রান্ত
একটি প্রস্তাবনাও প্রধানমন্ত্রী বরাবর দিয়েছে।
একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের
কাছে প্রস্তাবনার আলোকে শুভ উদ্যোগ
কামনা করা হয়েছে।
নাগরিক সমাজ রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের
কাছে লেখা আরেকটি চিঠিতে রাষ্ট্রের
অভিভাবক হিসেবে সংলাপের শুভ উদ্যোগ
গ্রহণে বিশেষ ভূমিকা রাখার অনুরোধ
জানানো হয়েছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় নাগরিক সমাজের
পক্ষে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম
শামসুল হুদা স্বাক্ষরিত তিনটি পৃথক চিঠির
একটি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বরাবর
পাঠানো হয়। তিনটি চিঠিই সংশ্লিষ্ট
কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও
বিরাজমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য গত ৭
ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স
ইনষ্টিটিউশনে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার
নাগরিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায়
অংশ নেওয়াদের বক্তব্যের আলোকে ও ঐক্যমত্যের
ভিত্তিতে ‘জাতীয় সংকট নিরসনে জাতীয়
সংলাপ’ শীর্ষ প্রস্তাবনা গৃহিত হয়। মূলত ওই
প্রস্তাবনার আলোকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও
বিএনপি চেয়ারপারসনকে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ
জানানো হয়েছে।
নাগরিক সমাজের প্রস্তাবনায় সংলাপের উদ্যোগ
নিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ
করা হয়েছে। আর সংলাপের বিষয়ে বিশেষ
ভূমিকা রাখতে রাষ্ট্রপতিতে ভূমিকা রাখার
অনুরোধ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলমান
সহিংসতা অর্থনীতি ও জনজীবনকে বিপর্যয়ের
মুখে ঠেলে দিয়েছে। এর মূল কারণ হলো সরকার ও
তাদের প্রতিপক্ষের মধ্যকার রাজনৈতিক বিরোধ।
স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধ ও সংকট
নিরসনের শান্তিপূর্ণ রীতি হচ্ছে সংলাপ। এর
কোনো বিকল্প নেই। আর এই সংলাপ হতে হবে সব
সক্রিয় রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার
প্রতিনিধিদের কার্যকর অংশগ্রহণের ভিত্তিতে।
প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ
উপায়ে বিরাজমান সমস্যার দ্রুত সমাধান
করতে হবে। যাতে নারী-শিশু, মাতাপিতা,
নির্দোষ মানুষ জ্বালাও পোড়াও হাত
থেকে রক্ষা পেতে পারে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষার
পরিবেশ পায় এবং স্বাভাবিক
অবস্থা ফিরে আসে। বাণিজ্যের জন্য
পরিবহনব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়। কৃষক যেন
ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও
বিএনপি চেয়ারপারসনের
কাছে পাঠানো প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে,
যারা সংবিধানের মূলনীতির প্রতি বিশ্বাসী ও
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ
তারা সবাই সংকটের স্থায়ী সমাধানের
প্রতি গুরুত্বারোপ করেছে। সেক্ষেত্রে নির্বাচন
কমিশনসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক
প্রতিষ্ঠানগুলো কি কি ভাবে শক্তিশালী করা হ
তারা স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে,
তা বিবেচনার দাবি রাখে। প্রস্তাবনায়
ভবিষ্যতে সংবিধান সংশোধনের জন্য
একটি কমিশন গঠন করার কথা বলা হয়েছে।

Comments