কে বলে মেসি এক পায়ের খেলোয়াড়!

স্বাধীন:- জেতাল মেসির ডান পা.
দুর্দান্ত একটা রেকর্ড নিয়েই ন্যু
ক্যাম্পে এসেছিল ভিয়ারিয়াল, সব
প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বশেষ ১৮
ম্যাচে অপরাজিত ‘হলুদ সাবমেরিনরা’। পরশু সেই
রেকর্ডটা আরেকটু হলে বাড়িয়েই নিচ্ছিল। শেষ
পর্যন্ত পারল না বার্সেলোনার একটা ঝলকের
কাছে, দুবার এগিয়ে গিয়েও হারল ৩-২ গোলে।
জেরার্ড পিকের ২৮তম জন্মদিনটা আরেকটু হলেই
পণ্ড হতে বসেছিল। ৩০ মিনিটের মাথায় রিয়াল
মাদ্রিদ থেকে ধারে আসা ডেনিস চেরিশেভের
গোলে হকচকিয়ে যায় ন্যু ক্যাম্প। ১৫ মিনিট পরই
অবশ্য সমতা ফেরায় বার্সা, দুর্দান্ত
ফর্মে থাকা নেইমার করেছেন এই লিগ
মৌসুমে নিজের ১৫তম গোল। এরপর পাগুলে ৪
মিনিটেই ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হয়ে গেছে। ৫২
মিনিটে প্রতি আক্রমণ
থেকে লুসিয়ানো ভিয়েত্তোর
গোলে ভিয়ারিয়াল এগিয়ে যাওয়ার খানিক
পরেই বার্সাকে সমতায় ফিরিয়েছেন রাফিনহা।
৫৫ মিনিটে লা লিগায় মেসির ২২তম গোলেই
ম্যাচটা জিতেছে বার্সা।
স্কোরলাইন বলতে পারে না মেসি কীভাবে গোল
পেয়েছেন। বক্সের ঠিক বাইরে থেকে গোল
করা মেসির জন্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু
সেটা যদি ডান পায়ে হয়! সচরাচর এই পা ব্যবহার
করেন না বার্সা ফরোয়ার্ড। তবে এই মৌসুমে যেন
নিজেকে সব্যসাচীই প্রমাণ করে যাচ্ছেন।
মৌসুমে সবসুদ্ধ ৩২ গোল করেছেন, এর মধ্যে ১২টিই
ডান পায়ে! ১৭টি করেছেন বাঁ পায়ে,
বাকি তিনটি হেডে।
লুইস এনরিকের অবশ্য রক্ষণের
সমালোচনা করা উচিত। পুরো ম্যাচে বল
নিজেদের কাছে রেখেও
প্রতি আক্রমণে খাবি খেয়েছে বার্সার
ডিফেন্ডাররা। তবে সব মিলিয়ে বার্সা কোচ খুব
একটা অসন্তুষ্ট নন, ‘গোলগুলো বাদ
দিলে ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই ইতিবাচক ছিল।
১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর আমরা মিনিট
দশেকের জন্য খেই হারিয়ে ফেলি, বলও নিজেদের
কাছে রাখতে পারছিলাম না। কিন্তু প্রথম
গোলের আগ পর্যন্ত আমরা কোনো বিপদেই
পড়িনি। ৩-২ হওয়ার পরও ম্যাচটা নিজেদের
মুঠোয় রাখার জন্য আমরা চেষ্টা করে গেছি।’
তবে এনরিকের দুশ্চিন্তার আরেকটা কারণও আছে,
ফর্মের সঙ্গে যুঝতে থাকা লুইস সুয়ারেজ এদিনও
সুযোগ পেয়ে গোল করতে পারেননি! এই জয়ের পরও
রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে (৫১) চেয়ে এক পয়েন্ট
পিছিয়েই রইল বার্সা, ম্যাচ অবশ্য
খেলেছে একটি বেশি।
ওদিকে ইতালির সিরি ‘আ’তে হোঁচট
খেয়েছে জুভেন্টাস, উদিনেসের সঙ্গে গোলশূন্য
ড্র করেছে। ইংলিশ লিগে অ্যাস্টন ভিলাকে ৫-০
গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আর্সেনাল।

Comments