"খাইলায়নি কুয়েতর কামাই "হবু স্ত্রীর নাম ভুলে যাওয়ায়...

স্বাধীন:- বিয়ের কয়েক মিনিট আগে হবু স্ত্রীর নাম ভুলে যাওয়ায় নিদারুণ এক খেসারতের মুখে পড়েছেন পাকিস্তানি এক তরুণ। অভিবাসন আইনে ফেঁসে এখন কঠিন
দণ্ডাদেশের মধ্যে পড়েছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের আদালতের
নির্দেশে তাঁকে ২০ মাস কারাভোগ
করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, হবু স্ত্রী ও
ঘটককেও বিভিন্ন
মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটা শুনে মনে হতে পারে,
কী বেরসিক কাণ্ডই না ঘটে গেল!
আসলে এই তিনজন ভুয়া বিয়ের আয়োজন
করেছিলেন। ঘটনা ফাঁস হওয়ায় আদালত
তাঁদের এ সাজা দিয়েছেন।
পিটিআইয়ের খবরে জানানো হয়,
পড়াশোনার জন্য
যুক্তরাজ্যে গিয়েছিলেন ২৮ বছর
বয়সী পাকিস্তানি তরুণ জুবায়ের খান।
তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে আসছিল।
দেশটিতে থেকে যাওয়ার জন্য তিনি ঘটক
খালিক দাদ খানের সঙ্গে সলাপরামর্শ
করে হাঙ্গেরীয়
কনে বেটা সিলাজিকে বিয়ে করার
সিদ্ধান্ত নেন। গত বছরের
অক্টোবরে জুবায়ের ও
বেটা বিয়ে নিবন্ধনের জন্য নিবন্ধকের
কার্যালয়ে যান। কিন্তু কনের নাম
ভুলে যাওয়ায় তাঁর ফন্দিটা জট
পাকিয়ে যায়। জুবায়ের তাঁর ঘটককে ফোন
করেন। বিষয়টি নিবন্ধক কার্যালয়ের
কর্মকর্তারা খেয়াল করেন। পরে ঘটক
এলে তাঁকে ও বর-কনেকে আটক করা হয়।
পরে তদন্ত করে দেখা যায়, এটি ছিল
ভুয়া বিয়ের আয়োজন।
বিষয়টি যুক্তরাজ্যের অভিবাসন আইনের
লঙ্ঘন। এই প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত
হওয়ায় জুবায়ের খান ও ঘটক খালিক দাদ
খানকে ২০ মাস করে কারাদণ্ডাদেশ
দেওয়া হয়। আর
বেটা সিলাজিকে দেওয়া হয় ১৭ মাসের
কারাদণ্ড।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত
কর্মকর্তা অ্যান্ডি শার্পে বলেন,
এটি যুক্তরাজ্যের অভিবাসন আইনের
প্রতি ছিল চরম প্রতারণা।

Comments