মেডিকেল গবেষণার কথা বলে শতাধিক
নারীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে জাপানের
পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। ধর্ষিত
এসব নারীরা মনে করেছিল
তারা চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণার
একটি অংশ হতে যাচ্ছেন। জাপানের
গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় মিডিয়ার
রিপোর্ট হতে এ তথ্য জানা গেছে।
ধর্ষণের শিকার এ নারীদের
উদ্ধৃতি দিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান,
২০১৩ সালের নভেম্বরে ৫৪ বছর
বয়সী হিদায়োকি নগোচি নামে এক
ব্যক্তি ‘ঘুমের সময় রক্তের চাপ পরিমাপ’
বিষয়ে ক্লিনিক্যাল গবেষণার জন্য
স্বেচ্ছাসেবক আহ্বান
করে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়।
নগোচির এ বিজ্ঞপ্তিকে বিশ্বাস করে ওই
নারীরা তার সাথে যোগ দেয়। নগোচি এই
নারীদেরকে বিলাসবহুল হোটেল ও
রিসোর্টে অবকাশ যাপনের মাধ্যমে প্রলুব্ধ
করতেন। তারপর তাদের চেতনানাশক ওষুধ
দেয়া হত। তারা অচেতন হয়ে পড়লে তাদের
ধর্ষণ করার সাথে সাথে প্রতিটি ধর্ষণের
ভিডিও ধারণ করতেন তিনি।
তারপর এ ভিডিও ফুটেজ ইন্টারনেটে পোস্ট
করত কিংবা পর্নোছবির প্রযোজকদের
কাছে বিক্রি করতেন। এ ধরনের ভিডিও
বিক্রি করার মাধ্যমে তিনি ১০ মিলিয়ন
ইয়েন (৮৫,০০০ ডলার) আয় করেছেন
বলে জানান টিবিএস ও অন্যান্য
সংবাদমাধ্যম কর্মীরা। জানা গেছে,
নগোচির চিকিৎসা বিষয়ে কোনো ধরনের
প্রশিক্ষণ কিংবা এ বিষয়ে তার
কোনো ধারণাও নেই।
পূর্ব টোকিও’র চিবা পুলিশের একজন মুখপাত্র
জানান, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা অন্তত ৩৯ জন
নারীর ধর্ষণের শিকার হওয়ার
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। যাদের বয়স ১৩
থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। এদের অধিকাংশই
টোকিও, চিবা, ওসাকা, টোচিগি ও
শিজোকার বাসিন্দা। গোয়েন্দাদের ধারণা,
নগোচির হাতে ধর্ষণের শিকার হওয়া এ
সংখ্যাটি কেবল একটি ভগ্নাংশ মাত্র।
তারা মনে করছেন এ সংখ্যা শতাধিক
অতিক্রম করবে।
Comments
Post a Comment