রিয়ালকে গুঁড়িয়ে শিরোপা লড়াইয়ে আতলেতিকো




এই মৌসুমে আতলেতিকোর কাছে রিয়ালের এটা চতুর্থ হার; ছয়বারের মুখোমুখি লড়াইয়ের অন্য দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। লিগের প্রথম পর্বে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ২-১ গোলে জিতেছিল আতলেতিকো।

এই ম্যাচ হেরে গেলে আতলেতিকো শিরোপা লড়াইয়ে অনেক পিছিয়ে পড়ত।

এই হারের পরও লিগের শীর্ষস্থানে অবশ্য কোনো পরিবর্তন আসেনি। ২২ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে রিয়াল। ৪ পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে আতলেতিকো। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্টও ৫০, তবে একটি ম্যাচ কম খেলেছে তারা।

চোটের কারণে সের্হিও রামোস ও পেপে এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে মার্সেলো না থাকায় রিয়ালের ভঙ্গুর রক্ষণ নিয়ে সমর্থকদের দুশ্চিন্তা আগে থেকেই ছিল। দুর্বল রক্ষণের পাশাপাশি এদিন রিয়ালের বড় ভাবনা হয়ে দাঁড়ায় গোলরক্ষক ইকের কাসিয়াসের ব্যর্থতা। প্রথম গোলটি তো তার ভুলেই হজম করতে হয় অতিথিদের।


ডি বক্সের মধ্যে ফাঁক খুঁজে না পেয়ে তিয়াগোকে পাস দেন মারিও মানজুকিচ। বল পেয়েই ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে জোরালো শট নেন পর্তুগিজ এই মিডফিল্ডার। কাসিয়াস ঠিকমতো ঠেকাতে না পারায় বল তার হাতে লেগে ঢুকে যায় জালে।

চার মিনিট পর দুর্দান্ত ওভারহেড কিক-এ ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দশম মিনিটে কোকের বদলে মাঠে নামা সাউল। স্পেনের এই মিডফিল্ডারকে বাঁ দিকের গোললাইন থেকে ক্রস দিয়েছিলেন ব্রাজিলের ডিফেন্ডার গিলেরমো সিকুয়েইরা।

৩৬তম মিনিটে রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আরেকটি গোল খাওয়া থেকে বেঁচে যায় রিয়াল। উরুগুয়ের ডিফেন্ডার দিয়েগো গোদিনের অল্প দুরত্ব থেকে নেয়া কোনাকুনি শট হাত দিয়ে ঠেকান অতিথি মিডফিল্ডার সামি খেদিরা। আতলেতিকোর খেলোয়াড়েরা পেনাল্টির জোরালো আবেদন করলেও রেফারি তা নাকোচ করে দেন।

বিরতির পরও রিয়ালের রক্ষণে একচেটিয়া চাপ ধরে রাখে আতলেতিকো। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে ৬৭তম মিনিটে সাফল্যও পেয়ে যায় তারা।

তুরস্কের আরদা তুরানের ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দ্বিতীয় গোলদাতা সাউল রিয়ালের ডিফেন্ডার নাচো ফের্নান্দেসের মাথার উপর দিয়ে বল বাড়িয়েছিলেন। অতিথিদের আরেক ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানেকে দৌড়ে পরাস্ত করে আলতো ছোঁয়ায় বল জালে জড়ান ফরাসি স্ট্রাইকার আন্তোনিও গ্রিজমান। এই গোলেও অতিথিদের রক্ষণভাগের দুর্বলতা আরেকবার ফুটে ওঠে।

রিয়ালের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগে দুর্দান্ত হেডে ব্যবধান ৪-০ করেন মারিও মানজুকিচ। ডান দিক থেকে ফের্নান্দো তরেসের ক্রসে ঝাঁপিয়ে পড়ে হেড করেন ক্রোয়েশিয়ার এই স্ট্রাইকার। ওই সময় অরক্ষিত ছিলেন তিনি।

দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। কিন্তু দলের এই বিপর্যয়ে তাকে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি।

Comments