দূরে কোথাও ঘুরতে গিয়েছেন।সেখানে গিয়ে ভালো কোন একটা হোটেল খোঁজাটাই স্বাভাবিক।
ভালো হোটেলের ধুঁকেই তোয়ালে,বিছানার চাদর
আর বালিশের ওয়াড়ের মতো ধবধবে ও নরম
তুলতুলে কাপড় সহজে মেলে না স্বাভাবিক
জীবনে। এই কারণে বেড়াতে গিয়ে অনেকেই
এই সমস্ত জিনিস নির্দ্বিধায় স্যুটকেস
বা ব্যাগে ভরে ফেলেন। বিষয়টি অবৈধ
জেনেও লোভ সামলাতে পারেন না তারা। এর
মধ্যে সবচেয়ে বেশি খোয়া যায় তোয়ালে।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর বিশ্বের
বিভিন্ন প্রান্তের হোটেল ও গেস্ট হাউস
থেকে চুরি যায় কয়েক লক্ষ তোয়ালে। অনুনয়
থেকে হুমকি, কর্তৃপক্ষের কোনও দাওয়াইয়েই
সারেনি পর্যটকদের এই আচরণ।
শেষে চুরি ঠেকাতে বাধ্য হয়ে প্রযুক্তির
শরণাপন্ন হয়েছে ব্রিটেনের হোটেল
মালিকরা। ব্রিটেনের বেশ কিছু হোটেলের
তোয়ালে, চাদর, বালিশের ওয়াড় ও কম্বলের
ভিতর বোতামের আকারের খুদে একটি যন্ত্র
ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই যন্ত্রের
সাহায্যে হোটেলের এই সমস্ত পণ্য কোথায় ও
কখন সরানো হচ্ছে, তা বিলক্ষণ
জানা যাবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
নির্মাতা সংস্থার তরফ
থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক
ভাবে তোয়ালে-চাদর ধোপাখানায়
পাঠানোর পর তার হিসেব রাখতে সাহায্য
করত এই চিপ। পরবর্তীকালে 'লিনেন
টেকনোলজি ট্র্যাকিং' নামে একই
প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে চুরি যাওয়া জিনিসের
খোঁজ পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। হোটেল ছাড়ার সময়
কোনও গ্রাহকের মালপত্তরের ভিতর
থেকে তোয়ালে বা চাদরের উপস্থিতির
সংকেত
মিললে সঙ্গে সঙ্গে তল্লাশি চালিয়ে তা উদ্ধার
করতে সক্ষম হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
আপাতত ব্রিটেনের ২০০০ হোটেল এই যন্ত্র
ব্যবহার করা শুরু করলেও বিশ্বের
নানা প্রান্তে তার প্রচলন যে দ্রুত
বাড়বে সে ব্যাপারে নিশ্চিত নির্মাতারা।
এবার থেকে হোটেল-ঘরের তুলতুলে তোয়ালের
মায়া কাটানোই অতএব শ্রেয়। হোটেলের
তোয়ালে সরানোর আগে সাবধান হওয়ায়
ভাল।
Comments
Post a Comment