পা ফাটা শীতকালের বড় সমস্যা হলেও অনেকের সাড়া বছরই
পা ফাটা সমস্যা থাকতে পারে। অজান্তেই বাতাসের
আর্দ্রতা ও ধুলি ও রোদ মিশ্রিত হয়ে পা ফেটে যায়। তাই
আগে থেকেই নেওয়া যেতে পারে প্রতিরোধ ও বাড়তি যত্ন।
পা-কে সুস্থ উজ্জ্বল করতে ব্যবহার করতে পারেন নিম্ন লিখিত
প্যাক।
# প্যাক:
২ টেবিল চামচ দুধ , ২ টেবিল চামচ মধু ও ২ টেবিল চামচ লেবুর রস
একসাথে মিশিয়ে হাত ও পায়ে লাগান ভালো মাখুন। ১০
থেকে ১৫ মিনিট রেখে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন । এই
প্যাকটি আপনার হাত ও পায়ের কালচে দাগ ও ছোপ দূর
করে উজ্জলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
# পায়ের যত্নে গুরুত্বপুর্ণ কিছু টিপস:
১। কখনো খালি পায়ে হাঁটবেন না।
২। পায়ে ধুলো-ময়লা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে তা পরিষ্কার
করে ফেলুন।
৩। গোসলের সময় অমসৃণ মেঝে কিংবা ঝামা ইট
বা গোড়ালি ঘষার উপকরণ দিয়ে ঘষে ঘষে গোড়ালির
মরা চামড়া দূর করতে হবে।
৪। গোসল বা প্রতিবার পা ধোয়ার পর ভালো করে মুছে এরপর
ভেসলিন বা গ্লিসারিন লাগিয়ে নিন।
৫। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় কখনোই মোজা পরে শোবেন না।
আর নাইলনের মোজা ব্যবহার না করে সুতির মোজা পরুন।
৬। প্রতিদিন গোসলের আগে পায়ে তেল মেখে নিন। তারপর
সাবান দিয়ে পায়ের চামড়া, গোড়ালি, আঙুলের কোণ ও
ধারগুলো পরিষ্কার করুন। পরিষ্কার করুন নেলব্রাশ দিয়ে নখের
চারপাশ, মাঝখানের অংশও।
৭। প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কোনো ভালো ক্রিম
দিয়ে পা ম্যাসাজ করবেন। এতে পায়ের সৌন্দর্য
বাড়বে এবং পাফাটবেনা।
৮। সপ্তাহে অন্তত দু’দিন উষ্ণ পানিতে পা ভেজাবেন।
এতে শরীরের রক্ত প্রবাহ ভালো হয়।
# ময়েসচারাইজিং :
হাত ও পায়ের যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে সব
শেষে ভালো কোনো ময়েসচারাইজার লাগাতে একেবারেই ভুল
করবেন না। যদি প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার খোঁজেন তবে অলিভ
অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। রাতে ময়েসচারাইজার
ভালো করে লাগিয়ে রাতে ঘুমুতে যাবেন। -সূত্র:দেভিয়ারলন্ড
Comments
Post a Comment