গুলশান ২- এর ৮৬ নম্বর সড়কের ৬ নম্বর
বাড়িটি বিরোধী জোটের শীর্ষ নেতা ও
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার
রাজনৈতিক কার্যালয়। দীর্ঘ ৩০ দিন গুলশানের
রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবস্থান করছেন
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক
প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার
নেতৃত্বেই চলছে ২০ দলীয় জোটের
ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচির
পাশাপাশি হরতাল। পুলিশি ব্যারিকেডের
মধ্যে অবরুদ্ধ ছিলেন প্রথম ১৬ দিন ছিলেন।
এরপর পুলিশি অবরোধ তুলে নেয়া হলেও
কৌশলগত কারণে কার্যালয় ছাড়েননি বেগম
জিয়া। এরই মধ্যে অকালে মৃত্যুবরণ করেছেন
প্রবাসে অবস্থানরত ছোট ছেলে আরাফাত
রহমান কোকো। কার্যালয়ের সীমিত
চলাফেরার মধ্যে যোগ হয়েছে শোক।
পুত্রশোকে কাতর ও বিপর্যস্ত তিনি। এ
অবস্থায় সর্বশেষ তার কার্যালয়ে বিদ্যুৎ,
টেলিফোন, টিভি, ইন্টারনেট ও মোবাইল
সংযোগ ছিন্ন করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ
পুনঃস্থাপন করা হলেও অন্যান্য সংযোগ এখনও
বিচ্ছিন্ন। যেকোন সময় গ্রেপ্তারের ঝুঁকিও
রয়েছে।
২০০৮ সালে স্ত্রী শর্মিলা রহমান,
মেয়ে জাফিয়া রহমান ও
জাহিয়া রহমানকে নিয়ে দেশ ছাড়ার পর
মালয়েশিয়া থাকেন তিনি।
ছেলেকে হারিয়ে ছোট
নাতনি জাহিয়া রহমানকে কাছ ছাড়া করছেন
না দাদি খালেদা জিয়া। দীর্ঘ ৭ বছর পর
বাবা আরাফাত রহমান কোকোর লাশ
নিয়ে বাংলাদেশে ফেরা জাহিয়াও দাদীর
কাছ ছাড়া হচ্ছেন
না বলে বিএনপি চেয়ারপারসনের
সঙ্গে দেখা করে আসা একাধিকজন
জানিয়েছেন। ছেলের মৃত্যু সংবাদ আসার
দোতলায় নিজের চেম্বারে রয়েছেন খালেদা।
আত্মীয়-স্বজন ছাড়া কেউই তার
কক্ষে যেতে পারেনি। আরাফাতের কফিন
আসার পর ৪০ মিনিটের জন্য নিচ তলায়
নেমেছিলেন তিনি।
গুলশানের কার্যালয়ে শোকার্ত
পরিবেশে আত্মীয়স্বজন পরিবেষ্টিত অবস্থায়
দিন কাটছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম
খালেদা জিয়া। দিনের বেশির ভাগ
সময়ে তার চারপাশে থাকেন স্বজনরা।
কার্যালয় সূত্র জানায়, বড় ছেলে তারেক
রহমানের শ্বশুর বাড়ি থেকে বেগম
খালেদা জিয়ার খাবার আসে প্রতিদিন।
নিজের বাসার একজন লোক সে খাবার
নিয়ে আসে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত
জিয়া পরিবারে কর্মরত আছেন। এছাড়া প্রায়
সময় দুই ভাই সাঈদ এস্কান্দর ও শামীম
এস্কান্দরের পরিবারের পক্ষ থেকে খাবার
নিয়ে আসে। তবে সে সব খাবার দুই
ভাবি তারা নিজেরা নিয়ে আসেন।
খাবারের ব্যাপারে অনেক বেশি যাচাই-
বাছাই ও নিয়ম রক্ষা করে চলেন বেগম জিয়া।
খাবার খান খুবই পরিমিত। সামান্য একটু ভাত
এবং তার দ্বিগুণ সবজি, মাছ বা দু-এক
টুকরো মাংস। তবে বেশির ভাগ দিন তার
খাবার মেন্যুতে থাকে করলা ভাজি। সবজির
মধ্যে এটি তিনি খুবই পছন্দ করেন।
তিনি প্রায়ই পেঁপের জুস ও তাজা ফলমূল খান।
ফলমূলের মধ্যে তিনি খাচ্ছেন, ডালিম,
কালো আঙুর, পেয়ারা, আপেল ও কমলা।
তবে কোন ফলমূলই তিনি খুব
বেশি একটা খাচ্ছেন না।
সূত্র জানায়, দীর্ঘ ৩০দিন তিনি নিজের
মতো করে একটি জীবনযাপন
প্রণালী তৈরি করে নিয়েছেন। রাতে প্রায়
সময় তিনি দেরি করে ঘুমাতে জান। ঘুম
থেকে উঠে ফজরেরন নামাজ
পড়ে হালকা নাস্তা হিসেবে চা খেয়ে তিনি পত্রপত্রিকাগুলোতে চোখ
বোলান।
এ সময় দলের কাজকর্মের কিছু কাগজপত্রও
দেখেন বেগম জিয়া। বেলা ১১টার
দিকে তিনি প্রায় ৩ ঘণ্টার মতো ঘুমান।
বিকালে ফের বিভিন্ন দলীয় কাগজপত্র
দেখেন। বিকাল থেকে সন্ধ্যার পর দলের
লোকজনের সঙ্গে নানা সাংগঠনিক
বিষয়ে কথাবার্তা বলেন। বিশেষ
করে সন্ধ্যার পর তার সঙ্গে সাক্ষাৎ
করতে যাওয়া দলের সিনিয়র নেতা ও
বিশিষ্টজনদের তিনি সাক্ষাৎ দেন। তাদের
কাছে দেশের সার্বিক
পরিস্থিতি সম্পর্কে নানা তথ্য জানতে চান
এবং আলোচনা করেন। অনেক সময় নেতাদের
বিভিন্ন পরামর্শ ও নির্দেশনা দেন।
তবে গুলশানের রাজনৈতিক
কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার জন্য কোন
রান্নাবান্না হয় না। কিন্তু সেখানে অন্যদের
জন্য রান্নার ব্যবস্থা সব সময় হচ্ছে।
কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ৩
জানুয়ারি অন্যান্য দিনের
মতো কার্যালয়ে এসেছিলেন খালেদা জিয়া।
ফলে সেখানে তার ঘুমানোর জন্য
আলাদা কোন ব্যবস্থা ছিল না।
কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়ার
পর সেখানে আসবাবপত্র নেয়া যায়নি।
খালেদা জিয়া নিজেও এ ব্যাপারে আগ্রহ
দেখাননি। অবরুদ্ধ হওয়ার পর থেকে নিজের
কক্ষে একটি জাজিমের ওপর ঘুমোচ্ছেন তিনি।
তার কক্ষে অ্যাটাচড বাথরুম থাকলেও বাসার
মতো সেগুলো বড় নয়। এ
নিয়ে কিছুটা অসুবিধায় রয়েছেন তিনি।
গুলশানের বাসায় দিনের কিছু সময় দোতলার
বারান্দায় হাঁটাহাঁটি করতেন
খালেদা জিয়া। এছাড়া, বাসার
কক্ষগুলো ছিল বড়। কিন্তু কার্যালয়ে তার
কক্ষটি অনেক ছোট। ওই একটি কক্ষের মধ্যেই
তার চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে।
ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর
আগের অবরুদ্ধ দিনগুলো খালেদা জিয়ার জন্য
ছিল একরকম। কিন্তু ছেলের মৃত্যুর পর
থেকে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন দিনের
অনেকটা সময় তিনি জায়নামাজে পার করেন।
আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর
তিনি খাবার নিয়ে বেশ অনিয়ম করেছেন।
দুইদিন ভাতই মুখে তুলেননি। অনেক
সান্ত্বনা দিয়ে ও বুঝিয়ে এ সময় তাকে কিছু
হালকা খাবার ও পানীয় দিয়েছেন স্বজনরা।
এতে তিনি শারীরিকভাবেও কিছুটা দুর্বল
হয়ে পড়েছেন। অনেকটা শুকিয়ে গেছেন। গত ৮
বছর ধরে একের পর এক বিপর্যয় পার করছেন
তিনি।
কারাবন্দি থাকাকালে মাকে হারিয়েছেন।
দুই ছেলে ও তাদের সন্তানরা দীর্ঘদিন ধরেই
দেশের বাইরে। ভাই সাঈদ এস্কান্দরের পর
ছোট ছেলে আরাফাত রহমান
কোকোকে হারিয়েছেন। ছেলের শোক
তিনি কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
৩ জানুয়ারি রাত থেকেই গুলশান
কার্যালয়ে তার সঙ্গে অবস্থান করছেন দলের
ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান,
মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন
সুলতানা, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান
শিমুল বিশ্বাস ও প্রেস সচিব মারুফ কামাল
খান সোহেল ও কার্যালয়ের কয়েকজন
কর্মকর্তা। খালেদা জিয়াকে সহায়তা করার
জন্য তার গৃহকর্মী কুলসুম রয়েছেন প্রথমদিন
থেকেই। দিনের বেশির ভাগ সময়
খালেদা জিয়ার কক্ষে তার সঙ্গে সময় কাটান
আরাফাত রহমান কোকোর দুই মেয়ে, সাঈদ
এস্কান্দর ও শামীম এস্কান্দরের স্ত্রী।
মাঝে মধ্যে তাদের সঙ্গে যোগ দেন তারেক
রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বড়
বোন শাহীনা খান বিন্দুসহ জিয়া পরিবারের
ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনরা। কোন কোন দিন
শামীম এস্কান্দরের
স্ত্রী রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে অবস্থান
করতেন। এখন দুই নাতনিই সে স্থান পূরণ
করছেন। তবে বেশির ভাগ দিন
আত্মীয়স্বজনরা সকালে গুলশান
কার্যালয়ে যান, সারাদিন সঙ্গ
দিয়ে রাতে বাসায় ফিরে যান। বেশির ভাগ
সময় জরুরি প্রয়োজনে সেলিমা রহমান, শিরিন
সুলতানা ও শিমুল বিশ্বাস তার
সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এ সময় তাকে নানা তথ্য সম্পর্কে অবহিত করে,
পরামর্শ ও নির্দেশনা নেন। কার্যালয়ের
সামনে থেকে পুলিশ ব্যারিকেড তুলে নেয়ার
পর দলের অনেক নেতাই তার সঙ্গে সাক্ষাৎ
করতে সেখানে গেছেন। কিন্তু তাদের বেশির
ভাগই খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের
সুযোগ পাননি। বিএনপি চেয়ারপারসনের
ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র দাবি করেছে, গ্রেপ্তার
নিয়ে শঙ্কিত নন খালেদা জিয়া। কারণ
তিনি অতীতে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেছেন।
আটক অবস্থায় দিন কাটিয়েছেন। এখনও এক
অর্থে তিনি বন্দিজীবনই পার করছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ জানুয়ারি শনিবার দিবাগত
রাত ১১টার দিকে গোয়ান্দা কর্মকর্তাদের
কাছে পৌঁছায় তার এই পরিকল্পনার খবর। এই
খবর নিশ্চিত হওয়ার পরই চিকিত্সার
কথা বলে রিজভীকে নয়াপল্টন
থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময়
খালেদা জিয়াও তার গুলশান কার্যালয়
থেকে বের হতে চাইলে পুলিশ মূল ফটক
আটকে রাখে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি। এর এক
ঘণ্টা পর রাত পৌনে একটার দিকে পুলিশের
যে গাড়ি দিয়ে ফটকের সামনের
রাস্তা আটকে রাখা ছিলে তা সরিয়ে নেয়া হয়।
পরে পুলিশের কর্মকর্তারা বলেন, উনি বাসায়
যাওয়ার জন্য অলরেডি পারমিটেড।
খালেদা জিয়া গুলশানের কার্যালয়
থেকে সরাসরি বাসায় যেতে পারবেন।
এতে কোনো বাধা নেই।
তবে বাসা থেকে অন্য কোথাও যেতে পারবেন
না। বাইরে যেতে চাইলে প্রয়োজনে পুলিশ
বল প্রয়োগ করবে। আর যদি তিনি বাসায়
যেতে না চান তাহলে কার্যালয়েই
থাকতে হবে। এরপর পুলিশের ব্যারিকেড
তুলে নেয়া হলেও রাতে সেখানেই থেকে যান
তিনি। তা সঙ্গে তখন ছিলেন দলের ভাইস
চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, তার বিশেষ
সহকারী শামসুর রহমান শিমুল
বিশ্বাস,মহিলা দলের শিরিন সুলতানা,
সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া,
রেহানা আক্তার রানু, রাশেদা বেগম হীরা,
সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক
প্রধানমন্ত্রী বেগম
খালেদা জিয়া বিবিসি বাংলার সাথে এক
একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছেন
সরকারী বাধা স্বত্বেও সোমবারের
কর্মসূচি তিনি প্রত্যাহার করছেন না। ঢাকায়
নির্ধারিত সমাবেশের চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, শুধু আমি নই, গোটা দেশ আজ
অবরুদ্ধ করে দিয়েছে সরকার। সরকার গাড়ি,
লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
আমি যদি অবরুদ্ধ নাই হতাম তাহলে আমার
সঙ্গে বিকল্পধারার নেতা ও সাবেক
প্রেসিডেন্ট বি চৌধুরী দেখা করতে কেন
আসতে পারলেন না।
খালেদা জিয়া বলেন, শনিবার রাত
থেকে তাকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ
করে রাখা হয়েছে। রাতে পুলিশে ঘেরা তার
অফিসে বসে টেলিফোনে তিনি বিবিসি বাংলার
মোয়াজ্জেম হোসেনকে বলেন,
কোনো কর্মসূচির আগে কোনো দলের
নেতাকে এভাবে অন্তরীণ করে রাখার নজির
বাংলাদেশে নেই।
গুলশানের নিজ কার্যালয়ে গতকাল রাত
থেকে অবরুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম
খালেদা জিয়া। এ অবস্থায় দেখতে গেলেন
সঙ্গীত শিল্পী আসিফ আকবর। আসিফের
নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল
রোববার বেলা পৌনে পাঁচটার
দিকে দিকে গুলশানে খালেদা জিয়ার
কার্যালয়ে যান। প্রতিনিধি দলে আছেন
সাবেক ফুটবলার আমিনুল ইসলাম।
জানা গেছে, শনিবার রাত দেড়টায়
খালেদা জিয়ার বাসভবন থেকে তার নিত্য
ব্যবহার্য বিভিন্ন
সামগ্রী কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
সামগ্রীগুলো নিয়ে আসেন বাসভবনের একজন
আয়া ও তিনজন নিরাপত্তাকর্মী।
একটি কালো লাগেজ, একটি প্লাস্টিকের
একটি ছোট ব্যাগ ও
একটি শপিং ব্যাগে করে তার নিত্য ব্যবহার্য
জিনিসপত্র- কার্যালয়ের ভেতরে আনা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার
গুলশানের বাসভবন ও কার্যালয়ের
সামনে গতকাল শনিবার রাত থেকেই
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কার্যালয়ের ভেতরে আছেন
খালেদা জিয়া আর বাইরে পুলিশ।
স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
দাবি করেছেন, খালেদা জিয়াকে অবরুদ্ধ
করা হয়নি। তাকে নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।
রোববার সকালে গিয়ে দেখা গেছে, ওই
রাস্তায় কার্যালয়ের উত্তরে গুলশান মডেল
স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এবং দক্ষিণে ৮৭
নম্বর সড়কের মাথায় পুলিশের দুটি ভ্যান
আড়াআড়ি করে রাস্তায় ফেলে রাখা হয়েছে।
রাস্তার দুই মুখে অবস্থান নিয়ে আছে বিপুল
সংখ্যক পুলিশ। ওই রাস্তায় সাধারণ যান
চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি সাধারণ মানুষজনের চলাচলও
নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম
খালেদা জিয়া তার গুলশানের রাজনৈতিক
কার্যালয় থেকে বের হতে বাধার সম্মুখিন
হয়েছেন। তার সঙ্গে কয়েকজন মহিলা দলের
নেত্রী রয়েছেন।
শনিবার রাত পৌনে ১২টায় কার্যালয়
থেকে বের হয়ে গাড়িতে ওঠেন তিনি।
তবে তাকে কার্যালয় থেকে বের
হয়ে আসতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম
খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের
সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
করা হয়েছে। খালেদা জিয়া এখন
কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। চেয়ারপারসনের
প্রেস উংয়ের সদস্য শাইরুল কবির খান বলেন,
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার
গুলশান কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ
মোতায়েন করা হয়েছে। ম্যাডাম তার গুলশান
কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। তার গাড়ি মূল
ফটকের সামনে আটকিয়ে রেখেছে পুলিশ
সদস্যরা।
তবে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন,
অন্যকিছু ভাবার কিছু নেই। নগরীর
নিরাপত্তার কারণেই খালেদা জিয়ার
কার্যালয়ের সামনে দিয়ে পুলিশ টহল
দিতে পারে।
Comments
Post a Comment