রিয়ালকে লজ্জায় ডোবাল অ্যাটলেটিকো

স্বাধীন ল:- ৪-০! চোখ কচলে দেখলেও বিশ্বাস হয় না।
রিয়াল মাদ্রিদের মতো ‘পরাক্রমশালী’
দলকে আজ স্রেফ নিজেদের সামনে নতজানু
হয়ে কুর্নিশ করলে বাধ্য করেছে তাদেরই
‘গরিব’
নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।
২৭ বছর পর রিয়ালের জালে এক হালি গোল
দিল সিমিওনের জাদুতে বদলে যাওয়া অল্প
বাজেটের এই দলটি। রিয়ালের সৌভাগ্য,
ম্যাচের ব্যবধান আরও বড় হতে পারত
অনায়াসেই।
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ যেন
সত্যি ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গা’লে পরিণত
হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে! যে​
রিয়াল টানা ১৩ বছর অ্যাটলেটিকোর
কাছে হারেনি, বরং বলা ভালো,
যে অ্যাটলেটিকো একটা যুগ ধরে পরাজয় আর
হতাশার গ্লানিতে পুড়েছে বারবার,
তারাই যেন সেই লজ্জাটা এবার
ধীরে ধীরে শোধ করে দিতে শুরু করেছে। এ
মৌসুমে মাদ্রিদ ডার্বিতে জয়
কাকে বলে বেমালুম
ভুলে বসেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। এ
মৌসুমে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে চার
ম্যাচের একটিতেও
জিততে পারেনি রিয়াল। আজ
লিগে তো নিজেদের মাঠে এল এমন এক জয়,
যে জয় নিয়ে অ্যাটলেটিকো গর্ব
করবে অনেক দিন। ১৯৮৭-৮৮ সালের পর প্রথম
লিগে ‘রয়্যাল’দের বিপক্ষে এত বড় জয় পেল
‘প্রজা’রা।
১৪ মিিনটেই ভিসেন্তে ক্যালদেরনের
গ্যালারির লাল-সাদা ঢেউয়ে আনন্দ
ছড়িয়ে দিলেন তিয়াগো। মারিও
মানজুকিচের বাড়িয়ে দেওয়া বলে জোরাল
শট ইকার ক্যাসিয়াসকে ‘ভেদ’
করে ঢুকে যায় তিয়াগোর জোরালো শট। ১৮
মিনিটে দুর্দান্ত এক বাইসাইকেল
কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাউল। গোল
শোধ করবে কী, রিয়াল
উল্টো অ্যাটলেটিকোর আক্রমণের
তোড়ে তটস্থ রিয়াল!
৬৭ মিনিটে আতোঁয়ান গ্রিজমানের
দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে স্কোরলাইন দাঁড়ায়
৩-০। খেলার শেষ মুহূর্তে তোরেসের
ক্রসে অসাধারণ হেডে শেষ
পেরেকটা ঠুকে দেন মানজুকিচ! রক্ষণভাগ,
মধ্যমাঠ, আক্রমণ—সববিভাগেই আজ
রিয়ালের তুলনায় যোজন যোজন
এগিয়ে অ্যাটলেটিকো। দুই ম্যাচের
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা ক্রিস্টিয়ান
কিনা, বোঝা কঠিনই ছিল। রিয়ালের
ভোতা আক্রমণ আর অসহায় রক্ষণভাগের
সুযোগ দোর্দণ্ড দাপটে ম্যাচ
পকেটে পুড়ে নিল সিমিওনের ছাত্ররা। সব
মিলিয়ে ১৭টি শট নিয়েছে অ্যাটলেটিকো,
যার ৮টিই ছিল গোলমুখে। অন্য
দিকে রিয়ালের মোট শটই ছিল ৪টি,
একটি মাত্র লক্ষ্যে।
স্কোরলাইন ৪-০
হয়ে গেছে বলে ছোটখাটো অতৃপ্তি নিয়ে এ
আর মাথা ঘামাবেন না সিমিওনে।
তবে ৩৪ মিনিটে পেনাল্টির জোরাল
দাবি নাকচ হয়েছে অ্যাটলেটিকোর। যদিও
রিপ্লেতে মনে হয়েছে, বলটা হাতেই
লেগেছিল খেদিরার।
রিয়ালের এ পরাজয়ে পয়েন্ট টেবিলের
হিসাব-নিকাশে আপাতত পরিবর্তন
না হলেও তাতে কিছুটা লাভ
হয়েছে অ্যাটলেটিকো ও বার্সেলোনার ।
২২ ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৫৪, ২১
ম্যাচে বার্সার ৫০ ও অ্যাটলেটিকোর ২২
ম্যাচে ৫০।

Comments