নীলফামারীতে ‘ধনী’ ভিক্ষুকের কারাদণ্ড :-

স্বাধীন:- বাড়িতে আধা পাকা ঘর আছে।
আছে ফসলি জমি। এর পরও
ভিক্ষা করছিলেন তিনি। এভাবে গণ–
উপদ্রব সৃষ্টি করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ
আদালত তাঁকে ১০ দিনের কারাদণ্ড
দিয়েছেন।
এ ঘটনা ঘটেছে গতকাল রোববার
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ
উপজেলা শহরের বাজারে। দণ্ড
পাওয়া ব্যক্তির নাম মামুদ
ওরফে টন্না (৫৫)। তাঁর বাড়ি উপজেলার
বড়ভিটা ইউনিয়নের ঘোনপাড়া গ্রামে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার
বিকেলে কিশোরগঞ্জ
বাজারে ভিক্ষা করার সময় স্থানীয়
লোকজন মামুদকে আটক করে। এ সময়
স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির
মাধ্যমে ভিক্ষা করবেন না—এ
মর্মে প্রতিশ্রুতি দেওয়ায়
তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু গতকাল
আবারও ভিক্ষার ঝুলি হাতে বের
হলে এলাকাবাসী তাঁকে আটক করে। এ
সময় তাঁর পকেটে ১১ হাজার ৯৩৩
টাকা পাওয়া যায়। এরপর ভ্রাম্যমাণ
আদালতের বিচারক ও
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)
সিদ্দিকুর রহমান তাঁকে দণ্ডবিধির ২৯০
ধারায় ১০ দিনের কারাদণ্ড দেন।
বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত
নারী সদস্য শরিফা আক্তার জানান,
মামুদের আধাপাকা ঘর, গরু-ছাগল ও
জমি আছে। এ জন্য তাঁকে ভিক্ষুকের
তালিকাভুক্ত করা হয়নি। তাঁর
স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানান, তাঁর
স্বামী একজন পেশাদার ভিক্ষুক।
তিনি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন
স্থানে ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার
চালান। ভিক্ষুকমুক্ত কিশোরগঞ্জ
জানার পরেও তিনি লোভের
কারণে ভিক্ষা করতে বেরিয়েছিলেন।
গত বছরের ৫ জুলাই কিশোরগঞ্জ
উপজেলার ৯৭৯ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন
করা হয়। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ওই দিন
কিশোরগঞ্জ উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত
ঘোষণা করা হয়।
কিশোরগঞ্জের ইউএনও সিদ্দিকুর রহমান
বলেন, মামুদের কর্মকাণ্ড গণউপদ্রব
হিসেবে বিবেচিত হওয়ায়
তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ থানার
ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভিক্ষুক
মামুদকে গতকাল
জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Comments