স্বাধীন:- হার যেন তাড়া করে ফিরছে রিয়াল মাদ্রিদকে।
স্প্যানিশ লিগের সর্বশেষ
ম্যাচটা তারা হেরেছে, হার সঙ্গ
ছাড়েনি চ্যাম্পিয়নস লিগেও। তবে গোল
ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ইউরোপ-সেরার
লড়াইয়ে শেষ আটটা অন্তত নিশ্চিত
করতে পেরেছে তারা। শালকের কাছে ৪-৩
গোলে হারলেও দুই লেগ মিলে জার্মান ক্লাবটির
বিপক্ষে স্প্যানিশ জায়ান্টদের অগ্রগামিতা ৫-৪
গোলের। গোল-ব্যবধানই দ্বিতীয় লেগে দারুণ
খেলা শালকের বিদায় নিশ্চিত
করেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে। চ্যাম্পিয়নস
লিগে টানা ১০ ম্যাচ জেতার পর হারের
দেখা পেল কার্লো আনচেলত্তির দল।
স্প্যানিশ লিগে দুটো ম্যাচের হার রিয়ালের
আত্মবিশ্বাসকে কোন পর্যায়ে ঠেলে দিয়েছে,
তার নমুনা দেখা গেছে কাল রাতের ম্যাচে।
খেলার শুরু থেকেই এলোমেলো আক্রমণ, ভুল পাস
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে নখদন্তহীন এক
রিয়ালের বিজ্ঞাপনই তুলে ধরছিল।
সেই তুলনায় শালকের খেলা ছিল যথেষ্ট
পরিকল্পিত, গোছানো। ম্যাচের দশম মিনিটেই
গোল করার দারুণ একটা সুযোগও পেয়ে যায় তারা।
বাঁ প্রান্ত থেকে ম্যাক্স মায়ারের
বাড়ানো বলটি ঠিকমতো লক্ষ্যে রাখতে পারেনন
মোতিং। এরপর বেশ
কয়েকটি আক্রমণে রিয়ালকে ব্যতিব্যস্ত
রাখে শালকে। ২০ মিনিটে শালকের
হয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ক্রিস্টিয়ান ফুকস।
ডি বক্সের ডান দিক দিয়ে ক্লাস-ইয়ান-
হান্টেলারের ক্রস নিজের
নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে ফুকস এই
গোলটি করেন। গোলটির জন্য বেশ
কিছুটা দায়ী করা যায় রিয়াল-গোলরক্ষক ইকার
ক্যাসিয়াসকেও। ২৫ মিনিটেই রিয়ালকে খেলায়
ফেরান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। টনি ক্রুসের
কর্নার থেকে হেড করে করা গোলটি ছিল
দৃষ্টিনন্দন। এই গোলটিতে চ্যাম্পিয়নস
লিগে গোলসংখ্যায় রাউল গঞ্জালেসের ৭১
গোলকে ছাড়িয়ে গেলেন রোনালদো। বজায়
রাখলেন ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে নিজের গোল
করার ধারাবাহিকতা।
৪০ মিনিটে শালকেকে আবারও এগিয়ে দেন
ক্লাব-ইয়ান-হান্টেলার। প্রথমে তাঁর একটি শট
পোস্টে লেগে ফেরত
এলে ফিরতি বলে তা জালে ঠেলেন এই ডাচ
স্ট্রাইকার।
এই যাত্রাতেও রিয়ালকে খেলায় ফেরান
রোনালদো। ফ্যাবিও কোয়েন্ত্রাওয়ের
ক্রসে আরেকটি দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন
তিনি। এটি ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে তাঁর ৭৩তম
গোল। একই প্রতিযোগিতায় রিয়াল মাদ্রিদের
হয়ে এটি ছিল তাঁর ৬০তম গোল। ৭৪ গোল করে এই
তালিকায় রোনালদোর ওপরে আছেন লিওনেল
মেসি।
বিরতির পর প্রথমবারের মতো ম্যাচে এগিয়ে যায়
রিয়াল মাদ্রিদ। ৫২ মিনিটে ডি-বক্সের
মধ্যে একক প্রচেষ্টায়
আড়াআড়িভাবে ঢুকে গোলটি করেন করিম
বেনজেমা। নাটকীয়তায় পরিপূর্ণ এই ম্যাচ অবশ্য
রিয়ালকে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে দেয়নি। ৫৭
মিনিটেই গোলটি শোধ করে দেন শালকের
জার্মান মিডফিল্ডার জেরোয় সান।
৩-৩ অবস্থায় ম্যাচটি রূপ নেয় নখ-
কামড়ানিয়া এক শ্বাসরূদ্ধকর লড়াইয়ে। ৮৪
মিনিটে হান্টেলার নিজের দ্বিতীয়
গোলটি করে শালকেকে এগিয়ে দেন ৪-৩-এ। আর
একটি গোল করতে পারলেই হোম-অ্যাওয়ে গোল
ব্যবধানে রিয়ালকে পেছনে ফেলতে পারত
শালকে। কিন্তু সেটা হয়নি। দুর্দান্ত লড়াইয়ের
পরেও চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে পড়া দল
শালকেই।
রিয়াল মাদ্রিদ ভাগ্যের জুরে টিকে গেল।
Comments
Post a Comment