সেমি-ফাইনালে তারকা ক্রিকেটারদের নাটকের সাথে বৃষ্টিও
নাটক করেছে।খেলার কোনো সময়েই ধারনা করা যায়নি যে কোনো দল জিতবে।এমনকি শেষ সময়েও বলা যাচ্ছিল না
নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে কারা শেষ দুই যাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ভালো খেলেও কিউ তাণ্ডবে হেরে যাওয়ায় হতাশ।হারের পর নানা ভাবে এক এক ক্রিকেটার তাদের মন:পীড়ার পরিচয়
দেয়। কেউ মাটিতে লুটিয়ে। কেউ পিসের উপর শুয়ে পড়ে। এমন দিনে
স্টেডিয়াম ছেড়ে যেন প্যাবিলিযনে ফিরতে চাচ্ছিলেন না তারা।
কথায় বলে, কারও পৌষ মাস আর কারও সর্বনাশ। ম্যাককালামদের
উদযাপন বেদনার অশ্রু দিয়েই দেখতে হয়েছে অবাগাদের।
দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সকে মনেই হয়নি এই
সেই মারুকুটে ব্যাটসম্যান।
ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে ভিলিয়ার্স বলেন, ক্রিকেট জীবনে অনেক
খেলেছি। এটি একটি বিস্ময়কর একটি খেলা। আমার মনে হয়, সবচেয়ে
বেশি উন্মত্ত দর্শকদের আজ আমি দেখছি। এটা আরো কষ্ট বাড়িয়ে
দিচ্ছে।
আফ্রিকান এ কান্ডারি বলেন, ফাইনালে যাওয়ার জন্য আমরা
আমাদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারি নাই। আমাদের
চেয়ে ভালো টিম ফাইনালে গেছে।
ভিলিয়ার্স কথা বলার সময় অন্যদিনের চেয়ে বেশ ব্যতিক্রম ছিল।
যেটি ছিল নজড় কাড়ার মত। তিনি বলেন, অবশ্য হারের কারণে হৃদয়ে
রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কষ্ট পাচ্ছি। এ অবস্থা থেকে সেরে উঠতে কিছু সময়
লাগবে।
ভিলিয়ার্স বলেন, আমরা দেশের মানুষের জন্য ব্যাট ধরেছিলাম।
তাদের মুখে জয়ের হাসি এনে দেয়া টার্গেট ছিল। এখন
নিউজিল্যান্ডের জন্য শুভ কামনা রইল।
ভিলিয়ার্সের এ ধরনের বক্তব্যের জেরে পাকিস্তানের বঞ্চিত
ক্রিকেটার সাইদ আজমল বলেছেন ভিলিয়ার্স তুমি আমার অন্তর জয়
করেছে। গোটা দক্ষিণ আফ্রিকা যখন কাঁদছে ভিলিয়ার্স তাদের
কান্নাকে রীতিমত বাড়িয়ে দিলেন।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকান ভক্তদের দলের প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই । শুধু
আফসোস রয়েছে তাদের। আর সেটি হলো কেনই বা হলো এমন নিয়তি!
Comments
Post a Comment