প্রতিশোধের স্বপ্ন পূরণ হলো না ভিয়ারিয়ালের, মৌসুমের
শুরু থেকে চমক দেখানো দলটিকে আবারও
হারিয়ে কোপা দেল রের ফাইনালে উঠেছে বার্সেলোনা।
নেইমারের জোড়া গোলে সেমি-ফাইনালের
ফিরতি লেগেও ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে লুইস এনরিকের দল।
বুধবার রাতে বার্সেলোনার অপর গোলদাতা লুইস সুয়ারেস।
ভিয়ারিয়ালের একমাত্র গোলটি করেন জোনাথন দস
সান্তোস।
দুই লেগ মিলে ৬-২ ব্যবধানে জিতল প্রতিযোগিতার
সর্বোচ্চ ২৬ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
ঘরের মাঠের প্রথম লেগে ৩-১
ব্যবধানে জিতে ফাইনালে এক পা দিয়েই রেখেছিল
বার্সেলোনা। প্রতিপক্ষের মাঠে খেলতে নামার শুরুতেই
সেটা একরকম নিশ্চিত করে ফেলে তারা। নেইমারের
গোলে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি দুই লেগ মিলে ব্যবধান
৪-১ করে কাতালুনিয়া দলটি।
তৃতীয় মিনিটের ওই গোলে দারুণ অবদান ছিল সুয়ারেস ও
লিওনেল মেসির। মাঝ মাঠের আগে থেকে উড়ে আসা বল
নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডান দিকে থাকা মেসিকে লম্বা পাস
দেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। আর আর্জেন্টিনা অধিনায়কের
রক্ষণের উপর দিয়ে বাড়ানো বল-এ
আলতোভাবে পা লাগিয়েই গোলরক্ষকের মাথার উপর
দিয়ে জালে জড়ান নেইমার।
৩৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ
পেয়েছিলেন নেইমার। ডান দিক
দিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়া মেসিও
ভালো অবস্থানে ছিলেন, কিন্তু তাকে পাস
না দিয়ে ব্রাজিল তারকা নিজেই শট নেন,
যা রক্ষণে বাধা পায়।
পরের মিনিটেই দারুণ গোছানো এক আক্রমণ থেকে সমতায়
ফেরে স্বাগতিকরা। বাঁ-দিক থেকে স্প্যানিশ
মিডফিল্ডার জাউমা কস্তার ক্রসে প্রথম শটেই বল
জালে জড়ান মেক্সিকোর মিডফিল্ডার জোনাথন দস
সান্তোস।
এই গোলে সমতায় ফেরার মধ্যে দিয়ে ম্যাচে লড়াইয়ের
আভাস দেয় ভিয়ারিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু
থেকে তারা সুযোগও ভালোই তৈরি করছিল, কিন্তু ৬৫তম
মিনিটে তমাস পিনা বহিষ্কৃত হওয়ায় তাদের সব আশাই
একরকম শেষ হয়ে যায়। নেইমারকে বিপজ্জনক ফাউল
করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন এই স্প্যানিশ
মিডফিল্ডার।
৭২তম মিনিটে আবারও দলকে এগিয়ে দেয়ার সুযোগ নষ্ট
করেন নেইমার। তার কোনাকুনি শটটি ঠেকিয়ে দেন
ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক।
পরের মিনিটেই সব নাটকীয়তার অবসান ঘটান সুয়ারেস।
মাঝ মাঠের কাছাকাছি থেকে হাভিয়ের মাসচেরানোর
লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ক্ষিপ্রতার
সঙ্গে ডি বক্সে ঢুকে এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে কাটিয়ে গোলটি করেন
এই মৌসুমেই বার্সেলোনায় যোগ দেয়া তারকা।
সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলে টানা তিন ম্যাচে গোল
করলেন সুযারেস।
আর ৮৮তম মিনিটে দলের তৃতীয় ও নিজের দ্বিতীয়
গোলটি করেন নেইমার। বদলি হিসেবে নামা স্প্যানিশ
মিডফিল্ডার চাভি এরনান্দেসের ক্রসে হেড করে বল
জালে পাঠান তিনি।
Comments
Post a Comment