অবরোধের মধ্যেই বিএনপি জোটের
ডাকা হরতালে এসএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত
দিনে অনুষ্ঠিত হবে কিনা এ বিষয়ে চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত হবে রবিবার। আর এ জন্য উদ্বিগ্ন
শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের আরো দু’দিন
অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। শুক্রবার
শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান এ তথ্য
জানান।
তিনি বলেন,
পরীক্ষা বিবেচনা করে তারা (২০ দল)
কর্মসূচি প্রত্যহারের কোনো ঘোষণা দেয়
কিনা-সেটার দিকে তাকিয়ে ১
ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। ওইদিনই
পরীক্ষার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
জানানো হবে।
তিনি বলেন, চলমান অবরোধের
মধ্যে পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার চিন্তা-
ভাবনা ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের।
তবে হরতাল থাকলে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়।
২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু
হতে যাওয়া এসএসসি পরীক্ষার
কথা বিবেচনা করে হরতাল প্রত্যাহারে বেশ
কয়েকদিন ধরেই অনুরোধ জানিয়ে আসছেন
শিক্ষামন্ত্রী নরুল ইসলাম নাহিদ। অবরোধ
প্রত্যাহার না হলেও পরীক্ষা নেয়ার
বিষয়ে অনড় অবস্থানের কথাও ঘোষণা করেন
তিনি।
উল্লেখ্য, ২
ফ্রেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে এসএসসি ও
সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ১৪
লাখ ৭৯ হাজার ২৬৬ জন শিক্ষার্থী অংশ
নিচ্ছে। এর মধ্যেই শুক্রবার বিরোধী জোট এক
বিবৃতিতে রোববার সকাল ৬টা থেকে বুধবার
সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার হরতাল
কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ
সম্মেলনে প্রায় ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর
বিষয়টি বিবেচনা করে অবরোধ প্রত্যাহারের
আহ্বান জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল
ইসলাম নাহিদ।
নির্ধারিত রুটিন অনুযায়ী ২
ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা।
তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ১০ মার্চ।
এরপর ১১ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ব্যবহারিক
পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করা হয়।
এ বছর ২৭ হাজার ৮০৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের
শিক্ষার্থীরা তিন হাজার
১১৬টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে।
আটটি সাধারণ বোর্ডের
অধীনে এসএসসিতে ১১ লাখ ১২ হাজার ৫৯১ জন,
মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে দাখিলে দুই লাখ
৫৬ হাজার ৩৮০ জন এবং কারিগরি বোর্ডের
অধীনে এসএসসি ভোকেশনালে এক লাখ ১০
হাজার ২৯৫ জন এবার মাধ্যমিক সমাপনীর এ
পরীক্ষা দেবে।
Comments
Post a Comment