শীতে সুস্থ থাকতে ৫ ভিটামিন

শীত মানেই রকমারি সব্জি, ভরপেট খানা-
পিনা। ঋতুটাকে চুটিয়ে উপভোগ
করতে চাইলে মাথায় রাখতে হবে-
তাপমাত্রার ওঠা-নামা আমাদের
শরীরে যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। তাই
ডাক্তারদের পরামর্শ, ডায়েটে ভিটামিন
সি, ডি, ই, বি কমপ্লেক্স আর ওমেগা- ৩
রাখতে পারলে গোটা মৌসুম সুস্থ থাকবেন।
ভিটামিনগুলি কেন এত প্রয়োজনীয়?
১. ভিটামিন সি: শীতের শুরুতে সবাই কম-
বেশি সর্দি-জ্বর-কাশির মতো সংক্রামক
রোগে ভোগেন। ভিটামিন সি-র
মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এই ধরনের
সংক্রমণজনিত রোগ আক্রান্ত হওয়ার
সম্ভাবনায় কমায়। একই সঙ্গে কোলাজেনের
মাত্রা বাড়িয়ে জেল্লাদার ত্বক দেয়
আপনাকে।
এছাড়া, ভিটামিন সি-তে প্রচুর
পরিমাণে আয়রন থাকে। নিয়মিত
খেলে রক্তে আয়রনের পরিমাণও বাড়বে। সব
রকমের সাইট্রিক (টক) ফল যেমন, কমলালেবু,
পাতিলেবু, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে এই
ভিটামিন আছে। চাইলে ভিটামিন
সি ট্যাবলেটও খাওয়া যেতে পারে।
২. ভিটামিন ডি: শুধু শীতে নয়, বছর ভর এই
ভিটামিন শরীরের জন্য ভীষণ জরুরি। বিশেষ
করে হাড় মজবুত রাখতে এর জুড়ি নেই।
অনেকেই ঠাণ্ডায় আর বর্ষার
স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় গা-হাত-পায়ের
জয়েন্টের ব্যথায় ভোগেন। সূর্যের আলোয়
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই
রোজ দিনের কিছুটা সময় সূর্যের আলোয়
থাকতে পারলে এমনিতেই শরীরে ভিটামিন
ডি তৈরি হবে। এছাড়া, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ
দুধ ও কিছু শস্যদানাতেও এটি পাবেন।
৩. ভিটামিন ই: ত্বকের খসখসে, রুক্ষ ভাব
কমাতে চাইলে ডায়েটে ভিটামিন ই রাখতেই
হবে। এটি ত্বকের
আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। তার জন্য
কী খাবেন? মাছ, মাংসের
পাশাপাশি পালংশাক, বাদাম, তেঁতুল আর
ব্রকোলিতেও ভিটামিন ডি আছে।
৪. ভিটামিন বি কমপ্লেক্স: ত্বক,
গোড়ালি এবং ঠোঁট ফাটা কমাতে সাহায্য
করে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স।
এতে ভিটামিন-১ থেকে ভিটামিন-১২--
সবটাই রয়েছে। ডিম, সবুজ
পাতাওয়ালা সব্জি, চিকেন লিভার, মাছে এই
ভিটামিন পাবেন।
৫. ওমেগা ৩: এটি আক্ষরিক অর্থে ভিটামিন
না হলেও
শরীরে কোলেস্টেরলে লিপোপ্রোটিনের
(HDL) মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই অ্যাসিড
শরীরকে সুস্থ রাখে। সেই
সঙ্গে হাড়ে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ
বাড়িয়ে রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের
প্রাথমিক লক্ষণ জয়েন্টে ব্যথা ও শক্তভাব
কমাতে সাহায্য করে। বাদামী আখরোট,
তেলতেলে মাছ যেমন, টুনা, ম্যাকারেল
এবং ফ্লেক্সসিড-এ ওমেগা ৩ আছে।

Comments